দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ
ঢাকাSunday , 26 October 2025
  1. Blog
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. কর্পোরেট
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. জাতীয়
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. ধর্ম
  12. বিনোদন
  13. বিশেষ প্রতিবেদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

টেকসই শিল্পোন্নয়নে ওয়ালটনের ১ মেগাওয়াট ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প

বার্তা কক্ষ
October 26, 2025 8:02 pm
Link Copied!

বাংলাদেশের শিল্পখাতের টেকসই উন্নয়নকে আরও গতিশীল করতে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG)-এর আলোকে উৎপাদন প্রক্রিয়া, কর্মপরিবেশ এবং কর্পোরেট কাঠামোর সর্বত্র পরিবেশবান্ধব সবুজ উন্নয়নের নীতি অনুসরণ করছে দেশের শীর্ষস্থানীয় সুপারব্র্যান্ড ও টেক জায়ান্ট ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি।
জিরো কার্বন নিঃসরণ, সাশ্রয়ী জ্বালানি ব্যবহার, পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারে প্রতিষ্ঠানটি বাস্তবায়ন করছে একাধিক ক্লিন অ্যান্ড গ্রিন এনার্জি প্রজেক্ট।

এই ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ওয়ালটন সম্প্রতি নিজস্ব অর্থায়নে ১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ভাসমান (Floating) সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে। শিল্প সংশ্লিষ্টদের মতে, বাংলাদেশের শিল্পখাতে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের এই উদ্যোগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই, সবুজ ও পরিবেশবান্ধব একটি পৃথিবী গড়ার পথে নতুন এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

তথ্য অনুযায়ী, গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সের জলাশয়ের ওপর নির্মিত হয়েছে এই ১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ফ্লোটিং সোলার প্রকল্পটি, যা দেশের মধ্যে বেসরকারি খাতে নির্মিত সবচেয়ে বৃহৎ সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বুলনপুরে স্থাপিত ২.৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার সোলার পাওয়ার প্রকল্পে জলাশয়ের ওপর ভাসমান অবস্থায় প্রায় ০.৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছিল।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে ওয়ালটন শুধু নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারে নেতৃত্বই দিচ্ছে না, বরং শিল্প উন্নয়নে পরিবেশ ও প্রযুক্তির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার এক অনন্য উদাহরণও স্থাপন করছে।

ওয়ালটনের এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি (EHS) বিভাগের প্রধান মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেন, ভাসমান সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র (Floating Solar Power Plant) স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্পখাতে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারে ওয়ালটন এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই উদ্যোগ প্রমাণ করে যে, ভবিষ্যতের টেকসই শিল্পায়ন পরিবেশবান্ধব হতে পারে এবং প্রযুক্তি ও প্রকৃতির মধ্যে ভারসাম্যই হলো প্রকৃত উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি।

তিনি আরও জানান, জলাশয়ের ওপর স্থাপিত ওয়ালটনের এই ফ্লোটিং সৌর প্রকল্প শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি একসঙ্গে মাছ চাষ, ভূমি সংরক্ষণ, পানির বাষ্পীভবন কমানো এবং পরিবেশ সুরক্ষায়ও ভূমিকা রাখছে। কারখানা আংশিকভাবে চালু বা বন্ধ থাকলে এই প্ল্যান্ট থেকে অতিরিক্ত উৎপাদিত বিদ্যুৎ নেট মিটারিং ব্যবস্থার মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হচ্ছে, যা দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ইতোমধ্যে ওয়ালটন আরও দুটি জলাশয়ে একই ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়েছে, যা ভবিষ্যতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।

রাজু আরও বলেন, এই প্রকল্পে ব্যবহৃত ভাসমান কাঠামোগুলো ফুড-গ্রেড প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি, যা পানির মান বা জলজ প্রাণীর জীবনে কোনো প্রভাব ফেলে না। সৌর প্যানেলগুলো এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যাতে মাছের প্রাকৃতিক জীবনচক্রে কোনো বাধা না সৃষ্টি হয়। এই ফ্লোটিং সিস্টেম আগামী ২০ বছর পর্যন্ত কার্যকর ও টেকসইভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন চালিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে রুফটপ, ফুটপাত ও অন্যান্য খালি স্থানে ইতিমধ্যেই ১০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌর প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করছে। এছাড়া, শিল্প প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত পানি পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করে প্রায় ৭৫% নিরাপদভাবে পুনঃব্যবহার করা হচ্ছে। ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার ও আপসাইক্লিং কার্যক্রমের মাধ্যমে ওয়ালটন পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এসব উদ্যোগের ফলে প্রতিষ্ঠানটি ৯১১,৮২৩ মেট্রিক টন কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমন হ্রাস ও মোট কার্বন ফুটপ্রিন্ট ১০% কমাতে সক্ষম হয়েছে।

এই অর্জন স্পষ্ট করে যে, ওয়ালটন কেবল পরিবেশবান্ধব নীতি গ্রহণেই থেমে নেই—বরং তা বাস্তবে প্রয়োগ করে টেকসই শিল্পোন্নয়ন ও সামাজিক দায়বদ্ধতার এক অনুকরণীয় উদাহরণ তৈরি করেছে।