দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ
ঢাকাThursday , 11 September 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. কর্পোরেট
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. ধর্ম
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ প্রতিবেদন
  12. রাজনীতি
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে যে ৫ সবজি

বার্তা কক্ষ
September 11, 2025 9:10 am
Link Copied!

ডায়াবেটিস শারীরিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ওষুধ এবং নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকা উভয়েরই প্রয়োজন। ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সবজি ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। ডায়াবেটিস-বান্ধব খাদ্যতালিকায় সঠিক সবজি বেছে নিতে হবে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে, প্রদাহ কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫টি সবজি সম্পর্কে –

১. ব্রোকলি

ব্রোকলি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে উপকারী সবজি। কারণ এতে ভিটামিন সি, এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সঙ্গে ফাইবার রয়েছে। ব্রোকলিতে থাকা ফাইবার কার্বোহাইড্রেট হজমকে ধীর করে দেয়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে বাধা দেয়। ব্রোকলিতে পাওয়া অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সঙ্গে সালফোরাফেন প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে কাজ করে, যা সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের প্রভাবিত করে। নিয়মিত ব্রোকলি খেলে তা হৃদযন্ত্র ভালো রাখে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

২. পালং শাক

গবেষণায় দেখা গেছে যে, পালং শাক ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ফাইবার সহ তিনটি অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং তাদের ইনসুলিন প্রতিক্রিয়া বাড়াতে সাহায্য করে। পালং শাকে পাওয়া ম্যাগনেসিয়াম ইনসুলিনের কার্যকারিতা উন্নত করতে সক্ষম, যা রক্তে শর্করার ঘনত্ব কমাতে সাহায্য করে। পালং শাকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে, সেইসঙ্গে শরীরের প্রদাহ কমায়। পালং শাকে কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালোরির পরিমাণ  ন্যূনতম হওয়ায় এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না।

৩. বাঁধাকপি

বাঁধাকপিতে থাকা ভিটামিন সি এবং ফাইবারের পরিমাণ ডায়াবেটিস রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করার সঙ্গে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। বাঁধাকপির হজম প্রক্রিয়া রক্তপ্রবাহে সুগারের শোষণকে ধীর করে দেয়। বাঁধাকপিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস রোগীরা নিশ্চিন্তে বাঁধাকপি খেতে পারেন, কারণ এতে খুব কম কার্বোহাইড্রেট থাকে।

৪. অ্যাসপারাগাস

অ্যাসপারাগাসের কম ক্যালোরিযুক্ত উপাদান এবং এর খাদ্যতালিকাগত আঁশের মিলিত মিশ্রণ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য চমৎকার। অ্যাসপারাগাসে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়া ধীর করে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, অন্যদিকে এর ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান উন্নত বিপাকীয় স্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক সুস্থতায় সহায়তা করে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে শরীর সুরক্ষা পায়, কারণ অ্যাসপারাগাসে প্রচুর ভিটামিন সি এবং ই থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, অ্যাসপারাগাস খাওয়ার ফলে ইনসুলিন ব্যবস্থাপনা উন্নত হতে পারে।

৫. গাজর

গাজরে দুটি প্রধান পুষ্টি উপাদান থাকে যা হলো, ডায়েটারি ফাইবার এবং ভিটামিন এ সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন। গাজরে থাকা ডায়েটারি ফাইবার রক্তের মাত্রা ধীর করে দেয়, যা ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার বিপজ্জনক বৃদ্ধি এড়াতে সাহায্য করে। গাজরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ফ্রি সুগার শোষণ থেকে রক্ষা করে, যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। গাজরের গ্লাইসেমিক সূচক কম র‍্যাডিক্যালে থাকে এবং সেইসঙ্গে পুরো শরীর জুড়ে প্রদাহ কমায়।