প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন—খুব শিগগিরই দেশ নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে, আর সেই নির্বাচনের মাধ্যমেই শুরু হবে নতুন বাংলাদেশের যাত্রাপথ। এটিই তাদের স্বপ্ন ও ভিশন।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ বক্তব্য রাখেন।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন—বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শেকড় ১৯৭১ সালের রণাঙ্গনে। ২৫ মার্চের গণহত্যার পর ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তৎকালীন মেজর (পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি) জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সেই ধারাবাহিকতায় ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী যৌথভাবে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিত অভিযান শুরু করে। তাই এই দিনটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক বিশেষ মাইলফলক।
ইউনূস আরও বলেন—৭১ সালের ২১ নভেম্বরের সেই সমন্বিত যুদ্ধই শেষ পর্যন্ত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনার পথ তৈরি করেছিল। সশস্ত্র বাহিনীর সেই অবদান ইতিহাসে স্থায়ীভাবে স্বর্ণাক্ষরে থাকবে।
তিনি উল্লেখ করেন—বাংলাদেশ শান্তিপ্রিয় জাতি; আমরা সব বন্ধুসুলভ রাষ্ট্রের সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ সহাবস্থানকে মূল্য দিই। তবে যে কোনো বহিরাগত আগ্রাসন থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। এ লক্ষ্যেই সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীকে আধুনিকায়ন, উন্নত প্রশিক্ষণ এবং সময়োপযোগী প্রযুক্তি দিয়ে আপগ্রেড করার কাজ চলছে।
বক্তব্যের শুরুতে তিনি আজকের ভূমিকম্পে হতাহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেন এবং পরে স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদসহ ২৪-এর অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ করেন।



