অ্যানফিল্ডের আলোয় আবারও ফুটবল দেখল নাটকীয়তার চূড়া। থিবো কোর্তোয়ার হাতে যেন ছিল অদৃশ্য প্রাচীর, তবু শেষ মুহূর্তে ভাঙল সেই দেয়াল। এক নিখুঁত হেডে আর্জেন্টাইন জাদুকর অ্যালেক্সিস ম্যাক-অ্যালিস্টার রিয়াল মাদ্রিদকে ডুবিয়ে দিলেন লাল ঢেউয়ের উল্লাসে—লিভারপুল পেল প্রতিশোধের এক অবিস্মরণীয় রাত।
বড় ম্যাচ মানেই আলোচনায় থিবো কোর্তোয়া। রিয়াল মাদ্রিদের এই বেলজিয়ান গোলরক্ষক দেখালেন কেন তাকে বলা হয় ‘বড় মঞ্চের খেলোয়াড়’। প্রথম ৫০ মিনিটেই ৬টি সেভ করেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। ৬১ মিনিটে সোবোসলাইয়ের ফ্রি কিক থেকে ম্যাক-অ্যালিস্টারের হেডে ভেঙে যায় তাঁর প্রতিরোধ—লিভারপুল এগিয়ে যায় ১-০ গোলে, যা শেষ পর্যন্ত জয় নিশ্চিত করে।
পুরো ম্যাচজুড়ে যেন ছিল কোর্তোয়া বনাম লিভারপুল। সোবোসলাই, সালাহ, গাকপো—একাধিকবার নিশ্চিত গোল থেকে রিয়ালকে বাঁচান তিনি। ২৭ মিনিটে সোবোসলাইয়ের ক্লোজ-রেঞ্জ শটও অবিশ্বাস্যভাবে ঠেকান। অন্যদিকে, লিভারপুল গোলকিপার মামারদাশভিলিও একবার জুড বেলিংহামের শট রুখে দেন।
রিয়ালের গোল খাওয়ার সূচনা বেলিংহামের ভুলে। ফাউল করে ফ্রি কিক দেন, সেখান থেকেই আসে ম্যাক-অ্যালিস্টারের নির্ধারক গোল। প্রথমার্ধে পেনাল্টির দাবিও তোলে লিভারপুল, তবে ভিএআর তা নাকচ করে দেয়।
অ্যানফিল্ডে ফেরাটা ভালো হলো না রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো ও সাবেক লিভারপুল তারকা ট্রেন্ট আলেক্সান্দার-আর্নল্ডের জন্য। গ্যালারির দুয়ো আর ব্যর্থতা—সব মিলিয়ে হতাশার রাত কাটালেন তারা।
যদিও রিয়ালের দখলে ছিল ৬১% বল, কিন্তু ৮ শটের মধ্যে পোস্টে রাখতে পেরেছে মাত্র ২টি। বিপরীতে লিভারপুলের ১৭ শটের ৯টি ছিল অন টার্গেট। মৌসুমে প্রথমবারের মতো গোলশূন্য রইল রিয়াল মাদ্রিদ।
চার ম্যাচে সমান ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে রিয়াল, গোল ব্যবধানে ছয়ে লিভারপুল—তবু এই রাতে অ্যানফিল্ডের গর্জনে জয়ী ছিল শুধুই লাল আবেগ।

