চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। সোমবার (২৭ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে বিভাগটি।
পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগ অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ চাইতে পারবে না। চলমান সংকোচনমূলক নীতির ধারাবাহিকতায় এবারও সংশোধিত বাজেটে ব্যয় সাশ্রয় ও কৃচ্ছ্রসাধন নীতি বজায় রাখতে হবে।
এর আওতায় বিদেশ ভ্রমণ, গাড়ি ক্রয়সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যয় বন্ধ থাকবে। এই নীতি অনুসারে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে তাদের সংশোধিত বাজেটের প্রস্তাব আগামী ৯ নভেম্বরের মধ্যে অর্থ বিভাগে জমা দিতে বলা হয়েছে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, সংশোধিত বাজেটের প্রাক্কলন অবশ্যই মূল বাজেটের বরাদ্দের মধ্যে সীমিত থাকতে হবে। অতিরিক্ত অর্থ দাবি করা যাবে না। তবে সরকারের অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রয়োজন হলে, বরাদ্দের সীমার মধ্যেই খাতভিত্তিক অর্থ পুনর্বণ্টন করা যাবে। তবে উন্নয়ন বাজেটের অব্যয়িত অর্থ কোনোভাবেই পরিচালন বাজেটে স্থানান্তর করা যাবে না।
এছাড়া, ব্যয় সাশ্রয়ের নীতি অনুযায়ী সরকারি অর্থে বিদেশি কর্মশালা ও সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে। তবে একান্ত প্রয়োজন হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সীমিত আকারে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে। গাড়ি, জাহাজ ও বিমান কেনার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা থাকবে—শুধু ১০ বছরের বেশি পুরোনো গাড়ি প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদনে নতুন গাড়ি কেনা যাবে।
পরিচালন বাজেটের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তবে উন্নয়ন বাজেটের অধীনে শর্তসাপেক্ষে তা করা যাবে। একইসঙ্গে, কিছু খাতে ব্যয় স্থগিত রাখা হলেও, গুরুত্ব বিবেচনায় কিছু ক্ষেত্রে সীমিত ছাড় দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রণয়নে প্রকল্পের সংখ্যা সীমিত রাখাসহ ১৩ দফা নির্দেশনা জারি করেছে অর্থ বিভাগ।
অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। তাই কোথায় ব্যয় সাশ্রয়ের সুযোগ রয়েছে, তা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তারা জানান, আসন্ন ডিসেম্বর মাসে সংশোধিত বাজেটে এর প্রতিফলন দেখা যাবে। সাধারণত মার্চে বাজেট সংশোধনের প্রক্রিয়া হয়, তবে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় এবার আগেই সংশোধন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

