আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা ও গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ইসির আনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভার কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২০ অক্টোবর ২০২৫) তারিখ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মনির হোসেন স্বাক্ষরিত কার্যপত্রে বলা হয়েছে, নির্বাচনকালীন সময়ে ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ— এটি গোপনীয়তা লঙ্ঘন, নিরাপত্তা ঝুঁকি, আইন লঙ্ঘন ও ব্যক্তিগত তথ্য চুরির আশঙ্কা তৈরি করে। ড্রোন দিয়ে ভোটারদের ব্যক্তিগত স্থান বা ভোটকক্ষ পর্যবেক্ষণ, বিপজ্জনক বস্তু বহন, আইন অমান্য ও ভোটের ছবি-ভিডিও অপব্যবহারের মাধ্যমে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ন হতে পারে।
কার্যপত্রে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তিন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবে। তফসিলের আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে অপরাধী দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ব্যবস্থা নেবে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোট পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া হবে, যাতে প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে ও ভোটাররা নিরাপদে ভোট দিতে পারে। ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন বাহিনী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে দায়িত্বে থাকবে। ভোট শেষে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স সহিংসতা রোধে মোতায়েন থাকবে, আর ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্ত কমিটি সংক্ষিপ্ত বিচার পরিচালনা করবেন।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম ইতোমধ্যেই অগ্রসর পর্যায়ে রয়েছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ সম্পন্ন হয়েছে। রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত, ভোটকেন্দ্র নির্ধারণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলছে। তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, নির্বাচনকালীন সময়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং প্রশাসনিক প্রস্তুতি জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে কমিশন।

