দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ
ঢাকাThursday , 4 September 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. কর্পোরেট
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. ধর্ম
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ প্রতিবেদন
  12. রাজনীতি
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. সারাদেশ

সকালের নাশতায় ডিম কীভাবে খেলে বেশি উপকার মিলবে, চিকিৎসকের পরামর্শ

বার্তা কক্ষ
September 4, 2025 9:16 am
Link Copied!

ডিম মানবশরীরের জন্য অন্যতম সেরা পুষ্টিকর খাবার। বিশ্বজুড়ে সকালের নাশতায় ডিম খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। একটি মাঝারি আকারের ডিমে থাকে প্রায় ৭২ ক্যালরি, ৬ গ্রাম প্রোটিন ও ৫ গ্রাম স্বাস্থ্যকর চর্বি। এছাড়া ডিম ভিটামিন ডি, বি-১২, রিবোফ্লাবিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। এ কারণে এটি শরীরে শক্তি উৎপাদন, চোখের সুরক্ষা, হাড়ের দৃঢ়তা এবং মস্তিষ্কের বিকাশে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

সেদ্ধ ডিমের উপকারিতা: পুষ্টিবিদদের মতে, সেদ্ধ ডিম তুলনামূলকভাবে স্বাস্থ্যসম্মত। সেদ্ধ করার সময় অতিরিক্ত তেল, মাখন বা অন্য কোনো উপাদান ব্যবহৃত হয় না, ফলে প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন থাকে। একটি সেদ্ধ ডিম শরীরে শক্তি সঞ্চার করে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। যেসব উপকার মিলবে সেদ্ধ ডিমে:

  • সেদ্ধ ডিমে থাকে কোলিন, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ও স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়।
  • নিয়মিত সেদ্ধ ডিম খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল কমে এবং ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়।
  • এটি ওজন কমানোর খাদ্যতালিকায় রাখা যায়, কারণ এতে বাড়তি চর্বি নেই।
  • ডায়াবেটিস ও হৃদরোগীদের জন্য সেদ্ধ ডিমকে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ মনে করা হয়।

ভাজা ডিমের উপকারিতা ও সীমাবদ্ধতা: অন্যদিকে, ডিম ভাজার সময় এতে স্বাদ ও বৈচিত্র্য আনতে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, ধনেপাতা, টমেটো বা মাখন যোগ করা হয়। এসব উপাদান দেহে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। বিশেষ করে শিশু ও কিশোরদের জন্য এটি আকর্ষণীয় ও উপকারী।

  • ভাজা ডিমে ফসফরাসের পরিমাণ বেশি, যা হাড় ও দাঁতকে মজবুত করে।
  • প্রোটিনের পরিমাণ প্রায় সেদ্ধ ডিমের সমান থাকে।
  • ভাজা ডিম খেলে স্বাদে বৈচিত্র্য আসে, ফলে অনেকের কাছে এটি বেশি গ্রহণযোগ্য।

তবে ভাজা ডিমের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো তেল। সাধারণত সয়াবিন তেলে ডিম ভাজা হয়, যেখানে প্রচুর ট্রান্সফ্যাট থাকে। এই ট্রান্সফ্যাট হৃদরোগ ও স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই নিয়মিত ভাজা ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

  • যদি ডিম ভাজা খেতেই হয়, তবে সয়াবিন তেলের বদলে অলিভ অয়েল বা ঘি ব্যবহার করা উত্তম।
  • ভাজা ডিমে পালং শাক, টমেটো বা পনির যোগ করলে এর পুষ্টিমান আরও বেড়ে যায়।
  • যাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে বা হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি, তাদের জন্য সেদ্ধ ডিমই সেরা বিকল্প।
  • শিশুদের জন্য ভাজা ডিমে বাড়তি শাকসবজি মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে, এতে তাদের বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

পুষ্টিবিদরা মনে করেন, সেদ্ধ ও ভাজা দুটো ধরনের ডিমেই প্রোটিন ও ভিটামিনের পরিমাণ প্রায় কাছাকাছি। তবে বাড়তি তেলের কারণে ভাজা ডিম দীর্ঘমেয়াদে কিছুটা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাই প্রতিদিনের নাশতায় সেদ্ধ ডিম রাখা সবচেয়ে ভালো। আর সপ্তাহে এক-দুদিন ভিন্ন স্বাদের জন্য ভাজা ডিম খাওয়া যেতে পারে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া