৬শ’র বেশি সাবেক ইসরায়েলি নিরাপত্তা প্রধান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। ইসরায়েলের কারণে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে গাজায় কয়েক ডজন ফিলিস্তিনির মৃত্যু বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় সময় রোববার (৩ আগস্ট) ট্রাম্পের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই আবেদন করা হয়। এতে স্বাক্ষর করেছেন সাবেক মোসাদ প্রধান তামির পার্ডো, সাবেক শিন বেট প্রধান আমি আয়ালন এবং সাবেক ইসরায়েলি সেনা উপপ্রধান মাতান ভিলনাই। তারা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানান, যাতে প্রায় দুই বছর ধরে চলা এই যুদ্ধ বন্ধ করা যায়, যা গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।
এই চিঠি পাঠানো হয় এমন সময়, যখন ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে গাজায় আটক দু’টি কঙ্কালসার ইসরায়েলি বন্দিকে, যেখানে ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি দুর্ভিক্ষের মধ্যে বেঁচে থাকার লড়াই করছে।
‘যা কিছু বলপ্রয়োগে অর্জনযোগ্য, তা অর্জিত হয়েছে। বন্দিরা আর অপেক্ষা করতে পারবে না,’ ইসরায়েলের সিকিউরিটি ফর কমান্ডার্স (সিআইএস) গ্রুপ এক্স (টুইটার)-এ চিঠিটি শেয়ার করে এই বার্তা দিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তিনটি লক্ষ্যের মধ্যে দু’টি বলপ্রয়োগে অর্জন করেছে—’হামাসের সামরিক কাঠামো ও শাসন ব্যবস্থা ধ্বংস করা। কিন্তু তৃতীয় লক্ষ্য, অর্থাৎ সব ইসরায়েলি বন্দিকে ফিরিয়ে আনা, ‘কেবল একটি চুক্তির মাধ্যমেই সম্ভব’।
‘গাজা যুদ্ধ বন্ধ করুন! সিআইএস-এর পক্ষ থেকে, ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সাবেক সামরিক জেনারেল, মোসাদ, শিন বেট, পুলিশ ও কূটনৈতিক কর্পসের সমমর্যাদার ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে আমরা আপনাকে গাজা যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি,’ চিঠিতে লেখা হয়েছে।
চিঠিটে লেখা, ‘আমরা গাজা উপত্যকায় একটি মৌলিক পরিবর্তনের জন্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেয়ার একটি বিরল সুযোগের মুখোমুখি। ট্রাম্পের এটি করার সামর্থ্য আছে। নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র পরিষেবার সব শাখার ৫৫০ সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার পক্ষ থেকে আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি: যুদ্ধ বন্ধ করুন এবং বন্দিদের ফিরিয়ে আনুন। যা কিছু বলপ্রয়োগে অর্জনযোগ্য, তা অর্জিত হয়েছে। বন্দিরা আর অপেক্ষা করতে পারবে না। এটি সত্যিকারের সময়। আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তাঁর পূর্ণ প্রভাব খাটিয়ে এখনই এটি করার আহ্বান জানাচ্ছি!’
নিরাপত্তা প্রধানরা বলেছেন, ট্রাম্পের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করছে নেতানিয়াহুকে ‘সঠিক পথে’ পরিচালনা করার তার সামর্থ্যের ওপর।
সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি নিউজ