দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ
ঢাকাFriday , 18 July 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. কর্পোরেট
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. ধর্ম
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ প্রতিবেদন
  12. রাজনীতি
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জাপানের সঙ্গে ইপিএর দরকষাকষি শেষ পর্যায়ে

বার্তা কক্ষ
July 18, 2025 11:22 am
Link Copied!

জাপানের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) করতে ইতোমধ্যে দরকষাকষির পাঁচ দফা আলোচনা শেষ হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরে শেষ দফার আলোচনা হবে। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ  দেশটির সঙ্গে ইপিএ করতে চায় বাংলাদেশ। এটিই হবে কােনাে দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান সমকালকে বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাপানসহ বেশ কিছু দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৬ সালের নভেম্বরের আগেই বেশ কিছু দেশের সঙ্গে এ ধরনের চুক্তি করতে চায় সরকার।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে ২৬ জুন দুই দেশের মধ্যে খাতভিত্তিক আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। ২১টি ওয়ার্কিং গ্রুপ ৫৫টি সেশনের মাধ্যমে পণ্য ও সেবাভিত্তিক আলোচনার কাজ শেষ করেছে। জাপান পুরো প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে এবং বাংলাদেশের পক্ষকে একাধিক ক্ষেত্রে ছাড়ও দিয়েছে। এর আগে ২০ থেকে ২৫ এপ্রিল জাপানে পঞ্চম দফা আলোচনা হয়।

এলডিসি তালিকায় থাকায় বাংলাদেশ শুল্ক সুবিধায় জাপানে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। প্রতিবছর যার পরিমাণ প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার। কিন্তু ২০২৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণ করলে ১৮ শতাংশের বেশি শুল্ক দিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করতে হবে। তবে ইপিএ হলে বাড়তি এ শুল্ক লাগবে না। তা ছাড়া এ চুক্তি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, রপ্তানি বাজারে বৈচিত্র্য আসবে এবং স্থানীয় শিল্প খাতে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ অর্জনের সুযোগ তৈরি হবে। গাড়ি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ বাড়াবে জাপান। একই সঙ্গে অন্যান্য দেশের সঙ্গেও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার পথ সুগম হবে। এফটিও মানেই সব পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে শূন্য শুল্ক হয়ে যাবে এমনটি নয়। তবে এফটিএ স্বাক্ষরের পর থেকেই উভয় দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানিতে কিছু পণ্যে শূন্য শুল্ক কার্যকর হয়ে যাবে। আবার স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা কিংবা নানা কারণে বেশ কিছু পণ্য নিরুৎসাহিত করা হয়। এসব পণ্যে শুল্ক আগের মতোই থাকবে। যেমন জাপানি গাড়ি আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। কারণ সব গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানির অনুমতি দেওয়া হলে দেশে কেউ এ খাতে বিনিয়োগ করবে না। আবার কিছু পণ্যে চুক্তির সময়েই শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া সম্ভব না হলে পরবর্তীতে ক্রমান্বয়ে শুল্ক কমিয়ে শূন্যের পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে। আবার কখনও ডলারের সংকট দেখা গেলে এ চুক্তির আওতায় থেকে বিলাসী পণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপ করার সুযোগও থাকবে।

জানা গেছে, এলডিসি থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ, সম্প্রসারণ ও বিভিন্ন দেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাওয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) ও এফটিএ সম্পাদনের নীতি গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১৪টি দেশ ও ট্রেড ব্লকের সঙ্গে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি (আরটিএ) করতে আলোচনা শুরু করছে।