দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ
ঢাকাSunday , 22 June 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. কর্পোরেট
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. ধর্ম
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ প্রতিবেদন
  12. রাজনীতি
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. সারাদেশ

হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিল ইরানের পার্লামেন্ট

বার্তা কক্ষ
June 22, 2025 10:24 pm
Link Copied!

বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হরমুজ প্রণালি। এই প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে ইরানের পার্লামেন্ট। স্থানীয় সময় আজ রোববার দেশটির পার্লামেন্টে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ।

বিশ্বের মোট জ্বালানি তেলের প্রায় ২০ শতাংশ হজমুজ প্রণালি দিয়েই পরিবহন করা হয়। তবে প্রাথমিক অনুমোদন এলেও এই গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ বন্ধের সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত নয়। খবর এনডিটিভির।

পার্লামেন্ট সদস্য ও ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) কমান্ডার এসমাইল কোসারি আজ ইয়াং জার্নালিস্ট ক্লাবকে বলেন, এই বিষয়টি এখন আলোচ্যসূচিতে রয়েছে এবং প্রয়োজন হলেই কার্যকর করা হবে।

ইরানের প্রেস টিভি জানিয়েছে, হরমুজ প্রণালি বন্ধের বিষয়ে ইরানের পার্লামেন্ট প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দিয়েছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে দেশটির সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদকে।

গতকাল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে হরমুজ প্রণালী বন্ধের শঙ্কা আরও জোরালো হয়। যদি ইরান সত্যিই এই প্রণালি বন্ধ করে দেয় বা এতে কোনো ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টি করে তাহলে এর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামের উল্লম্ফন। এটি শুধু পরিবহন খরচ বাড়াবে না বরং অনেক দেশের অর্থনীতিতে মুল্যস্ফীতি ও মন্দার কারণ হতে পারে। ভেঙে পড়তে পারে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা।

পারস্য উপসাগরকে ওমান উপসাগর ও আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত করার একমাত্র সমুদ্রপথ এই হরমুজ প্রণালী। প্রতিদিন বিশ্বের মোট তেলের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ (প্রায় ২ কোটি ব্যারেল) এই প্রণালী দিয়েই পরিবাহিত হয়। সৌদি আরব, ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং ইরানের মতো প্রধান তেল ও গ্যাস উৎপাদনকারী দেশগুলো তাদের উৎপাদিত জ্বালানি এই পথ দিয়েই রপ্তানি করে। বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলো—যেমন চীন, ভারত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের জ্বালানির সিংহভাগের জন্য এই প্রণালীর ওপর নির্ভরশীল।

এই সংকীর্ণ জলপথ, যার সবচেয়ে কম প্রস্থ মাত্র ৩৩ কিলোমিটার, ভূ-রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল। এর মধ্য দিয়ে যাওয়া প্রতিটি ট্যাঙ্কার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বহন করে।