দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ
ঢাকাThursday , 19 June 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্যপ্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ প্রতিবেদন
  11. রাজনীতি
  12. লাইফস্টাইল
  13. শিক্ষা
  14. সারাদেশ
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইরানে জন্ম নিয়েছেন যেসব মুসলিম মনীষী

বার্তা কক্ষ
June 19, 2025 12:06 pm
Link Copied!

পশ্চিম এশিয়ার একটি দেশ ইরান। এর উত্তর-পশ্চিমে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান, উত্তরে কাস্পিয়ান সাগর, উত্তর-পূর্বে তুর্কমেনিস্তান, পূর্বে আফগানিস্তান, দক্ষিণ-পূর্বে পাকিস্তান, দক্ষিণে পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগর এবং পশ্চিমে তুরস্ক ও ইরাক অবস্থিত। প্রাচীন কাল থেকেই ভৌগলিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষাগত দিক বিবেচনায় ইরান গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল।

ইরানে অনেক মুসলিম মনীষী জন্ম গ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য— ইমাম গাজালী, মুসলিম ইবনে আল-হাজ্জাজ, আল-বেরুনী, জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি, শেখ সাদী, ওমর খৈয়াম, ইবনে সিনা। হাদিস বিশারদ, ধর্মতত্ত্বত, দর্শন, চিকিৎসাবিদ্যা, গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও সাহিত্য তাদের অবদান অবিস্মরণীয়।

মুসলিম ইবনে আল-হাজ্জাজ 

পূর্ণ নাম আবুল হুসাইন মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ আল কুশায়রী আন নিশাপুরী। তিনি খুরাসানের অন্তর্গত নিশাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বিখ্যাত আলেম, হাদিস বিশারদ ও শাস্ত্রজ্ঞ। তিনি আল-ইমাম, আল-হাফেজ, হুজ্জাতুল ইসলাম ইত্যাদি উপাধিতে ভূষিত ছিলেন।

শৈশব থেকেই তিনি হাদীস শিক্ষায় আত্মনিয়োগ করেন। হাদীস শিক্ষার উদ্দেশে তৎকালীন মুসলিম বিশ্বের সব কেন্দ্রেই যান। বিশেষ করে ইরাক, হিজায, মিশর প্রভৃতি অঞ্চল। তিনি সেখানে অবস্থানকারী হাদীসের শ্রেষ্ঠ উস্তাদ ও মুহাদ্দিসের কাছ থেকে হাদীস শিক্ষা ও সংগ্রহ করেন ।

তার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হলো সহীহ মুসলিম শরীফ সংকলন রচনা করা। এছাড়াও তিনি ১৮টি গ্রন্থ রচনা করেন। তবে মুসলিম শরীফ ছাড়া অন্য রচনাগুলো এখন পাওয়া যায় না।

ইমাম গাজালী

ইমাম গাজালীর পূর্ণ নাম আবু হামিদ মুহাম্মদ ইবনে মুহাম্মদ তুসী আল-গাজালী।

ইরানের খোরাসান প্রদেশের অন্তর্গত তুস নগরীতে ১০৫৮ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক ৪৫০ হিজরি সনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অন্যতম এবং প্রভাবশালী দার্শনিক, ধর্মতত্ত্ববিদ, আইনবিদ, যুক্তিবিদ ও সুফি হিসেবে পরিচিত। তিনি ইমাম গাজালি হিসেবে বিশ্বখ্যাত। তাকে পঞ্চম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

পঞ্চম শতকের মধ্যভাগে ইমাম গাজালীর জন্মের সময় পাশ্চাত্য ও গ্রিক দর্শনের বিস্তার লাভ করছিল। গ্রিক দর্শন গভীরভাবে অধ্যায়ন করে তার সমালোচনা করেন তিনি। তিনি ইসলামকে মধ্যযুগীয় অনৈসলামিক দার্শনিকদের প্রভাব থেকে মুক্ত করে কোরআন-হাদিসের শিক্ষায় মুসলমানদের ফিরিয়ে আনেন। তাই তাকে ‘হুজ্জাতুল ইসলাম’ বলা হয়ে থাকে।

ইমাম গাজালি রহ. চারশ’রও অধিক গ্রন্থ রচনা করেন। তার অধিকাংশ বইগুলোতে ধর্মতত্ব, দর্শন ও সুফিবাদ আলোচনা করেছেন। এহইয়া উলুমুদ্দীন, তাহাফাতুল ফালাসিফা তার প্রশিদ্ধ গ্রন্থ।

আল-বেরুনী 

আল-বেরুনীর পূর্ণ নাম আবু রায়হান আল-বেরুনী বা আবু রায়হান মুহাম্মাদ ইবনে আহমদ আল-বেরুনী।

৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে খাওয়ারিজমের শহরতলিতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

আল-বেরুনী নামে পরিচিত তিনি। তিনি ইসলামী স্বর্ণযুগে একজন খাওয়ারেজমিয় ইরানি পণ্ডিত এবং বহুবিদ্যাবিশারদ ছিলেন। তাকে বিভিন্নভাবে ইন্ডোলজির প্রতিষ্ঠাতা, তুলনামূলক ধর্মের জনক, আধুনিক জিওডেসির জনক এবং প্রথম নৃতত্ত্ববিদ বলা হয়। তিনি অত্যন্ত মৌলিক ও গভীর চিন্তধারার অধিকারী ছিলেন।

ইরানে জন্ম নিয়েছেন যেসব মুসলিম মনীষী