ভেনেজুয়েলা উপকূলের কাছ থেকে আরও একটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ল্যাটিন আমেরিকার জ্বালানি রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে। মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনার ফুটেজ প্রকাশ করে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নোয়েম জানান, মাদক ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন বন্ধে এবং চোরাচালান দমনে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তার ভাষায়, নিষেধাজ্ঞাভুক্ত এই তেল অবৈধভাবে পরিবহন করে অঞ্চলে মাদকসন্ত্রাসে অর্থ জোগান দেওয়া হচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই মেনে নেবে না।
এর আগে গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় প্রবেশ ও সেখান থেকে বের হওয়া সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক অবরোধ’ আরোপের নির্দেশ দেন। সেই নীতির বাস্তব প্রয়োগ হিসেবেই এই জব্দ অভিযানকে দেখছে ওয়াশিংটন।
অন্যদিকে, ভেনেজুয়েলা সরকার এই পদক্ষেপকে ‘চুরি ও আন্তর্জাতিক জলদস্যুতার গুরুতর উদাহরণ’ বলে আখ্যা দিয়েছে। এক বিবৃতিতে কারাকাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন ও সার্বভৌমত্বের সীমা লঙ্ঘন করছে।
পেন্টাগনের সহায়তায় পরিচালিত অভিযানে ভেনেজুয়েলা থেকে রওনা হওয়া জাহাজটি আটক করে মার্কিন কোস্ট গার্ড। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েই জাহাজে উঠে তল্লাশি চালানো হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে এটি দ্বিতীয়বার, যখন ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি এলাকা থেকে তেল ট্যাঙ্কার জব্দ করল যুক্তরাষ্ট্র।



