আমাদের ই-পেপার পড়তে ভিজিট করুন
ই-পেপার 📄
দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ
ঢাকাThursday , 18 December 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. কর্পোরেট
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. বিনোদন
  12. বিশেষ প্রতিবেদন
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গাজায় পাকিস্তানি সেনা পাঠানোর জন্য মুনিরকে চাপ দিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

Link Copied!

গাজায় প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ)–এ সেনা মোতায়েনের বিষয়ে পাকিস্তানের ওপর কূটনৈতিক চাপ বাড়াচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। লক্ষ্য একটাই—গাজা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বহুপক্ষীয় সামরিক উপস্থিতি নিশ্চিত করা।

রয়টার্সকে জানানো দুটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে জানা গেছে, পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। এই সফরে গাজা ইস্যু বৈঠকের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

চলতি বছরের শুরুতে ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এটি হবে আসিম মুনিরের সঙ্গে তার তৃতীয় বৈঠক। এর আগে গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে হোয়াইট হাউসে দু’দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধে ট্রাম্প ঘোষিত ২০-দফা শান্তি পরিকল্পনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হলো এই আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী। তবে বাস্তবতা হলো—একাধিক আরব ও মুসলিম দেশ সেনা পাঠাতে অনাগ্রহ দেখানোয় পুরো পরিকল্পনাটি এখনো কাঙ্ক্ষিত গতি পায়নি।

এই প্রেক্ষাপটে গত মঙ্গলবার কাতারের দোহায় মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) একটি সম্মেলনের আয়োজন করে। উদ্দেশ্য ছিল বাহিনীটির ম্যান্ডেট নির্ধারণ ও কাঠামো স্পষ্ট করা। যদিও সেখানে উপস্থিত ৪৫টি দেশের কেউই সেনা সরবরাহের বিষয়ে সুস্পষ্ট অঙ্গীকার করেনি।

উল্লেখযোগ্যভাবে, সম্মেলনে তুরস্ক ও ইসরায়েল—দু’দেশকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। যদিও যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণে তুরস্ক অংশ নিতে আগ্রহী ছিল। অন্যদিকে ইসরায়েল তুরস্কের উপস্থিতির বিরোধিতা করে আসছে।

ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক আটলান্টিক কাউন্সিল–এর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র ফেলো মাইকেল কুগেলম্যান মনে করেন, গাজা মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ না করা ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য হতাশার কারণ হতে পারে। তার মতে, এটি পাকিস্তানের জন্যও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—কারণ দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ও নিরাপত্তা সহায়তা ধরে রাখতে চায়।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তান বিশ্বের একমাত্র মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। তাদের সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় যুদ্ধ অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে তারা তিনবার পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে জড়িয়েছে, এমনকি চলতি গ্রীষ্মেও স্বল্পমেয়াদি সংঘর্ষের মুখোমুখি হয়েছে।

এ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরে বিচ্ছিন্নতাবাদ ও বিদ্রোহ দমন, পাশাপাশি আফগানিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে চলমান সংঘর্ষ—সব মিলিয়ে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বর্তমানে মাল্টি-ফ্রন্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।