বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিরাজমান অস্থিতিশীলতার প্রসঙ্গ তুলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলার সক্ষমতা কেবল জনগণ ও গণতন্ত্রের হাতেই রয়েছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, যেকোনো মূল্যে দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি রোধ করতে হবে। এই দুই ক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে নারী, কৃষি ও স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য খাতের উন্নয়ন পরিকল্পনা ব্যাহত হবে। আর এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষমতা শুধুই বিএনপির আছে বলেও দাবি করেন তিনি।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, কিছু মানুষ এখন বিএনপিকে সমালোচনা করলেও, অতীতে বিএনপি সরকারে তাদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। শেষদিন পর্যন্ত তাদের সরকারে থাকা প্রমাণ করে—দুর্নীতি বিরোধী অবস্থানে খালেদা জিয়ার অবস্থান কতটা সুস্পষ্ট। বিএনপির বিরুদ্ধে আনা কোনো অভিযোগই আদালতে প্রমাণিত হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জাতীয় সরকার গঠনের প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার পতনের দিন মহাসচিব মির্জা ফখরুল জাতীয় সরকার নিয়ে জানতে চাইলে আমরা বলেছিলাম—আমরা জনগণের কাছে ফিরব, তাদের রায়কে শ্রদ্ধা করব। কারণ জনগণই আমাদের শক্তির উৎস।
তিনি আরও বলেন, যেসব রাজনৈতিক শক্তি এখন নিজেদের দেখার আহ্বান জানায়, মানুষ তাদের ১৯৭১ সালেই দেখেছে—কীভাবে তারা মানুষ হত্যা করেছে, নারীর মর্যাদা লুণ্ঠন করেছে।
রাজনীতিতে টিকিট দেওয়ার প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, বেহেশত-দোজখ নির্ধারণ করার ক্ষমতা শুধু আল্লাহর; এগুলো যারা বলে তারা শিরক করছে। পরকালের বিচার একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই করবেন।
এ ছাড়া তিনি জানান, বিএনপি আগামী দুই মাসের মধ্যে একটি নির্বাচনের আশাবাদ করছে।


