আমাদের ই-পেপার পড়তে ভিজিট করুন
ই-পেপার 📄
দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ
ঢাকাWednesday , 12 November 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. কর্পোরেট
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. বিনোদন
  12. বিশেষ প্রতিবেদন
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের এসএমজি দিয়ে ব্রাশফায়ারের নির্দেশ দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার

Link Copied!

চট্টগ্রাম নগরে একের পর এক প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা জোরদার করতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ টহল ও থানাগুলোকে মৌখিকভাবে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে বেতারবার্তায় তিনি জানিয়েছেন—যে কোনো অন্যায়ভাবে অস্ত্র বহনরত ব্যক্তি দেখা মাত্র সাব-মেশিনগান (এসএমজি) ব্যবহার করে সশস্ত্র প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে।

কমিশনারের একাধিক সূত্র বলছে—দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত কয়েক দফা করে দেওয়া মৌখিক নির্দেশনাতেই এই সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করা হয়। প্রসঙ্গত—৫ নভেম্বর বায়েজিদ বোস্তামীর খোন্দকারাবাদ এলাকায় চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগ অনুষ্ঠানে গুলিতে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলা নিহত হন; সেই হামলায় প্রার্থী এরশাদ উল্লাহও আহত হন।

বেতারবার্তায় কমিশনার স্পষ্ট করে বলেছেন, শটগান বা চায়না রাইফেল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহলে ব্যবহার করা হবে না — বরং টহলে থাকা সদস্যরা চায়না অটো-মোটিভ সাব মেশিনগান বহন করবে এবং অপরাধী/অস্ত্রধারী দেখেই এসএমজি দিয়ে ব্রাশফায়ার করা হবে। পাশাপাশি টহল টিমদের জন্য ছোট শটগান, দুটি গ্যাস গান ও টিম ইনচার্জদের জন্য ৯ মিমি পিস্তল বহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চেকপোস্টের সংখ্যা বাড়িয়ে সাতটি থেকে ১৩টে করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

কমিশনার সদস্যদের আত্মরক্ষার অধিকার ও দণ্ডবিধির বিধান স্মরণ করিয়ে দিয়ে বার্তায় বলেন, প্রয়োজনে তিনি নিজে সকল দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তিনি বলেন, “জনসংযোগ সভায় ঢুকে প্রকাশ্যে গুলি করে একজনকে হত্যা করা আমাদের জন্য গভীর উদ্বেগের — নগরবাসীর নিরাপত্তাহীনতা সহ্য করা হবে না।”

দেশের নাগরিক সমাজের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। অনেকে এই কড়া সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলছেন—সন্ত্রাস রুখতে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা জরুরি। অন্যদিকে কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এমন ক্ষমতা অপব্যবহারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং নির্দিষ্ট প্রসঙ্গে অনির্দেশ্য গুলির ভয় বা তাত্ক্ষণিক বিচারের পথ নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।