দীর্ঘ আট মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর আজ শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে সীমিত আকারে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ। তবে পর্যটক সংকটের আশঙ্কায় জাহাজ চলাচল আপাতত বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন মালিকপক্ষ।
সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে পর্যটকরা শুধুমাত্র দিনের বেলায় দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার ভ্রমণপ্রেমী সেখানে যেতে পারবেন, তবে মানতে হবে সরকারের নির্ধারিত ১২টি নির্দেশনা।
নির্দেশনাগুলো হলো—
১. বিআইডব্লিউটিএ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কোনো নৌযান সেন্টমার্টিন দ্বীপে চলাচল করতে পারবে না।
২. পর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অনুমোদিত ওয়েব পোর্টাল থেকে অনলাইনে টিকিট ক্রয় করতে হবে। টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড থাকতে হবে; কিউআর কোডবিহীন টিকিট অবৈধ গণ্য হবে।
৩. ভ্রমণের সময়সূচি ও পর্যটক সংখ্যা এবার কড়াভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৪. নভেম্বর মাসে কেবল দিনের বেলায় ভ্রমণ করা যাবে; রাত্রিযাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
৫. ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে রাত্রিযাপনের অনুমতি থাকবে।
৬. ফেব্রুয়ারি মাসে পর্যটক যাতায়াত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে।
৭. দৈনিক সর্বোচ্চ দুই হাজারের বেশি পর্যটক দ্বীপে প্রবেশ করতে পারবেন না।
৮. পরিবেশ সংরক্ষণের স্বার্থে রাতে সৈকতে আলো জ্বালানো, শব্দ সৃষ্টি বা বারবিকিউ পার্টি আয়োজন নিষিদ্ধ।
৯. কেয়াবন এলাকায় প্রবেশ, কেয়া ফল সংগ্রহ বা বিক্রি, সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, প্রবাল, রাজকাঁকড়া, শামুক-ঝিনুকসহ জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
১০. সৈকতে মোটরসাইকেল, সি-বাইকসহ যেকোনো মোটরচালিত যান চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।
১১. নিষিদ্ধ পলিথিন বহন করা যাবে না; একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক যেমন চিপস প্যাকেট, স্ট্র, প্লাস্টিক চামচ, সাবান বা শ্যাম্পুর মিনিপ্যাক, প্লাস্টিক বোতল ইত্যাদি বহন নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
১২. প্লাস্টিক বোতলের পরিবর্তে পর্যটকদের নিজস্ব পানির ফ্লাস্ক সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সরকারি নির্দেশনা ও নানা বিধিনিষেধের কারণে পর্যটক উপস্থিতি কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ জানিয়েছে, আপাতত জাহাজ চালু করা হচ্ছে না। এতে সেন্টমার্টিনের ব্যবসায়ীদের প্রস্তুতিও পড়েছে অনিশ্চয়তার মুখে।

