দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ
ঢাকাMonday , 10 November 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. কর্পোরেট
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. বিনোদন
  12. বিশেষ প্রতিবেদন
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নবজাতকদের এনআইসিইউতে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী ‘ক্যান্ডিডা অরিস’ ছত্রাক

বার্তা কক্ষ
November 10, 2025 1:40 pm
Link Copied!

দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে (এনআইসিইউ) দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ছত্রাক ক্যান্ডিডা অরিস।

আইসিডিডিআরবি ও আইইডিসিআরের যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে, এই ছত্রাক একাধিক অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। গবেষণার অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সিডিসি, যারা ২০১৯ সালে এটিকে “অতি জরুরি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হুমকি” হিসেবে ঘোষণা করেছিল।

২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার দুই হাসপাতালে ভর্তি ৩৭৪ নবজাতকের ওপর এই গবেষণা হয়। এতে দেখা যায়, ৩২ নবজাতক (৯%) ত্বকে ক্যান্ডিডা অরিস বহন করছিল এবং একজনের রক্তে সংক্রমণ পাওয়া যায়। আক্রান্তদের মধ্যে ১৪ জন ভর্তি হওয়ার আগেই সংক্রমিত ছিল, ১৮ জন ভর্তি হওয়ার পরে আক্রান্ত হয়। মোট ৭ জন শিশুর মৃত্যু ঘটে, যার একজনের রক্তে সংক্রমণ ছিল। গবেষকেরা বলছেন, এসব তথ্য এনআইসিইউর অভ্যন্তরীণ সংক্রমণের দিকেই ইঙ্গিত দেয়।

সংগৃহীত ছত্রাকের ৮২% ফ্লুকোনাজোল প্রতিরোধী, অথচ এই ওষুধই সাধারণত প্রথম সারির চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ফলে চিকিৎসা আরও জটিল হয়ে পড়তে পারে।

আইসিডিডিআরবির গবেষক ফাহমিদা চৌধুরী জানান, এই ফলাফল নবজাতকদের মধ্যে সুপারবাগ ঝুঁকির গুরুতর প্রমাণ দেয়। নীতিগত ও প্রশাসনিক পর্যায়ে দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জরুরি।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, আক্রান্ত নবজাতকদের ৮১% সিজারিয়ান পদ্ধতিতে জন্ম নিয়েছে, যার ফলে হাসপাতালে থাকার সময় বেশি হওয়ায় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।

আইসিডিডিআরবি জানায়, ক্যান্ডিডা অরিস ত্বকে দীর্ঘ সময় কোনো লক্ষণ ছাড়াই থাকতে পারে। প্রায় ১০% ক্ষেত্রে এটি রক্তে প্রবেশ করে মারাত্মক সংক্রমণ ঘটায়। উন্নয়নশীল দেশে এই সংক্রমণের মৃত্যুহার প্রায় ৭০%।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এটি দ্রুত সুপারবাগে রূপ নিচ্ছে। ভবিষ্যতে চিকিৎসা আরও কঠিন হয়ে যেতে পারে। তারা হাসপাতালের যন্ত্রপাতি নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করা, স্বাস্থ্যকর্মীদের হাত ধোয়ার শৃঙ্খলা জোরদার করা এবং এনআইসিইউতে ধারাবাহিক নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। এতে সংক্রমিত নবজাতক দ্রুত শনাক্ত করে আলাদা চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।