দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ
ঢাকাFriday , 7 November 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. কর্পোরেট
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. বিনোদন
  12. বিশেষ প্রতিবেদন
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

২৩৭ টি আসনে মনোনয়ন – বিতর্কিত প্রার্থী নিয়ে বিপাকে বিএনপি

বার্তা কক্ষ
November 7, 2025 9:26 am
Link Copied!

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে গিয়ে বিতর্কিত, অযোগ্য এবং তথাকথিত হাইব্রিড নেতাদের মনোনয়ন দিয়ে চাপে পড়েছে বিএনপি। এর ফলে তৃণমূলে অসন্তোষ ও ক্ষোভ বাড়ছে। অনেক নেতাকর্মী ভেতরে ভেতরে ক্ষুব্ধ, দুঃখিত ও হতাশ। ইতোমধ্যে একটি আসনে বিতর্কিত প্রার্থীর মনোনয়ন স্থগিত করতেও বাধ্য হয়েছে দলটি। কয়েকটি জায়গায় প্রার্থিতা পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলন চলছে, কোথাও কোথাও সংঘর্ষও দেখা দিয়েছে। অনেক নেতা আশঙ্কা করছেন, এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব না থামলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আসন হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।

যদিও দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে তালিকাটি এখনও চূড়ান্ত নয়। স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজন হলে প্রার্থী পরিবর্তন করা হবে। নেতাকর্মীরা বলছেন, মাদারীপুর-১ আসনে কামাল জামান মোল্লার প্রার্থিতা বাতিল করলেও অন্যান্য কয়েকটি আসনে এখনও বিতর্কিত ব্যক্তিরাই রয়ে গেছেন। অনেকেই সাংগঠনিক শাস্তির ভয়ে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করছেন না, তবে প্রায় ১০ জেলার ২০টির মতো আসনে নীরব আন্দোলন চলছে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জানিয়েছেন যে বিএনপি বড় দল, প্রতিটি আসনেই একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকে। দীর্ঘ বিশ্লেষণ শেষে সম্ভাব্য তালিকা প্রস্তুত হয়েছে এবং প্রাসঙ্গিক মনে হলে পরিবর্তন আসবে।

চট্টগ্রাম-২ আসনে ঋণখেলাপি সরওয়ার আলমগীরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যিনি শিক্ষাগতভাবে অষ্টম পাস এবং রাজনৈতিক পালাবদলের পর সক্রিয় হন। স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ, আর্থিক প্রভাবেই তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম-৪ আসনে লায়ন আসলাম চৌধুরীর পরিবর্তে কাজী সালাহউদ্দিনকে মনোনয়ন দেওয়ায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অনেক নেতা গণপদত্যাগের ঘোষণাও দিয়েছেন।

গাজীপুর-৩, সুনামগঞ্জ-৫, নেত্রকোনা-৩, চাঁদপুর-২ ও চাঁদপুর-৪ আসনেও একই ধরনের অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে। দীর্ঘদিনের পরিশ্রমী, জনপ্রিয় এবং আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় নেতারা মনোনয়ন না পেয়ে ক্ষুব্ধ। অনেকে মনে করছেন, এসব সিদ্ধান্ত ভোটের মাঠে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

গোপালগঞ্জ-২ আসনেও দীর্ঘদিন এলাকায় কাজ করা নেতাদের বাদ দিয়ে ডা. এ কে এম বাবরকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, সবাইকে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়, তবে যারা বঞ্চিত হয়েছেন তাদের অন্যভাবে মূল্যায়ন করা হবে।

এর পাশাপাশি এস আলম গ্রুপ–ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকেও প্রার্থী করায় নতুন সমালোচনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে নোয়াখালী-৫ ও চট্টগ্রাম-১২ আসনে দলের ভেতর এবং মিত্র দলগুলোর মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি ড. অলি আহমদ পর্যন্ত এ বিষয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন।

এখনও ৬৩টি আসন খালি রেখেছে বিএনপি এবং এসব আসনের অনেকে অভ্যন্তরীণ জটিলতার কারণে ঘোষণা হয়নি। কয়েকটি আসনে দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে এবং কিছু ক্ষেত্রে কে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষা চলছে। পাশাপাশি সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন এবং হবিগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষে লড়াইয়ের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এই আসনের প্রার্থী এখনো ঘোষণা হয়নি।