জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দায়িত্বশীল ও অধিকারভিত্তিক শাসনব্যবস্থা জোরদারে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রস্তাব জানিয়েছে আয়ারল্যান্ড। পাশাপাশি, চলমান পুলিশ সংস্কার উদ্যোগে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা ভাগ করে নেওয়ার আগ্রহও প্রকাশ করেছে দেশটি।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ প্রস্তাব দেন আয়ারল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রথম পুলিশ অমবডসম্যান ব্যারোনেস নুয়ালা ও’লোন।
ব্যারোনেস ও’লোন ১৯৯৮ সালের ‘গুড ফ্রাইডে চুক্তি’র পর সাত বছর উত্তর আয়ারল্যান্ডে পুলিশ ওমবডসম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় দীর্ঘ সংঘাতের পর জনগণের আস্থা ও পুলিশের জবাবদিহিতা পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসে ব্যারোনেস ও’লোন বলেন, “আয়ারল্যান্ডের সংঘাত-পরবর্তী অভিজ্ঞতা আমাদের ধৈর্য, অংশগ্রহণ এবং প্রতিষ্ঠানগত সংস্কারের দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া সম্পর্কে মূল্যবান শিক্ষা দিয়েছে। আমরা বাংলাদেশে এসেছি সেই অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে এবং টেকসই পরিবর্তনের বাস্তবসম্মত সময়সীমা নিয়ে আলোচনা করতে।”
বৈঠকে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলির সঙ্গে ছিলেন আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ইউনিটের পরিচালক ফিয়োনুলা গিলসেনান।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস আয়ারল্যান্ডের এই উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশের চলমান সংস্কার ও পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় দেশটির সহযোগিতার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ ও জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে আয়ারল্যান্ডের সহায়তাকে আমরা অত্যন্ত মূল্যবান বলে মনে করি।”
এ সময় তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের বিস্তার রোধে আয়ারল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি বলেন, “শান্তি, ন্যায় ও গণতন্ত্রের মূল মূল্যবোধে দুই দেশই একই প্রতিশ্রুতিতে অটল।”
