বাংলাদেশ বিমানবাহিনী চীনের সঙ্গে প্রযুক্তি হস্তান্তরের একটি চুক্তির মাধ্যমে যৌথভাবে দেশে আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকল (ইউএভি) বা ড্রোন উৎপাদনের জন্য একটি কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছে। কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের প্রতিরক্ষা শিল্প সক্ষমতায় এটি এক ঐতিহাসিক অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হবে। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হবে।
এছাড়াও চীন বাংলাদেশে একটি বিমান মেরামত (ওভারহলিং) কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে। গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভার কার্যবিবরণীতে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সভায় বিশেষায়িত ডিফেন্স ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা, সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য স্থানীয়ভাবে উৎপাদন এবং এই খাতে সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির বিষয়ে আলোচনা হয়।
বিমানবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, প্রায় দুই বছর আগে বাংলাদেশ অ্যারোনটিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার তাদের নিজস্ব নকশায় চারটি বিমান তৈরি করে সফলভাবে পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সম্পন্ন করে। এর লক্ষ্য ছিল দেশীয় প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ বিমান তৈরি এবং ভবিষ্যতে বাণিজ্যিকভাবে স্পোর্ট এয়ারক্রাফট উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন।
কর্মকর্তারা আরও উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিমান-সংক্রান্ত সরঞ্জামের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যদি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দক্ষ মানবসম্পদ গঠনে বিমানবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে, তবে এভিয়েশন খাতে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হবে এবং বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রও আরও সম্প্রসারিত হবে।
চীনের প্রস্তাবিত বিমান ওভারহলিং কেন্দ্র প্রসঙ্গে এক কর্মকর্তা জানান, বিমানবাহিনীর বিদ্যমান সক্ষমতা ও দক্ষ জনবল ব্যবহার করে কিছু অতিরিক্ত সরঞ্জাম যুক্ত করলে ব্যবহৃত বিমানের ইঞ্জিন পুনর্নির্মাণ বা ওভারহলিং সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোতেও একই ধরণের বিমান ও ইঞ্জিন ব্যবহৃত হওয়ায় এই খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করা তুলনামূলকভাবে সহজ হবে।
সূত্র: দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

