সংসদ নির্বাচন নিয়ে জামায়াতে ইসলামী জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “ওরা বলছে বিএনপি নাকি নির্বাচন পেছাতে চায়, কিন্তু আমরা তো সবসময়ই নির্বাচনের পক্ষে।” তিনি আরও বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই বিএনপি নির্বাচনের কথা বলছে। আমরা কখনো নির্বাচন পেছানোর কথা বলিনি, বরং বারবার বলেছি—নির্বাচন দ্রুত করতে হবে। জনগণকে মিথ্যা কথা বলে প্রতারণা করবেন না।”
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় জাতীয় নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক এক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, “আমরা এখন খুব কঠিন সময় পার করছি—এটা আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা। কতটা স্থির থেকে আমরা এই নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারি, সেটাই চ্যালেঞ্জ।”
তিনি আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন যে যেকোনো সময় হামলা হতে পারে—তাহলে তিনি বলছেন না, হামলা কারা করবে? জাতি প্রস্তুত আছে হামলা প্রতিরোধে। ভয় দেখিয়ে মানুষকে দমানো যাবে না। এই দেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “যারা একাত্তরে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা এখন ১৯৭১-কে ভুলিয়ে দিতে চায়। কিন্তু ১৯৭১ আমাদের অস্তিত্বের প্রতীক, আমাদের পরিচয়ের সূচনা।”
তিনি বলেন, “২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হতে হবে। গণভোটও সেই দিনেই করা উচিত, আলাদাভাবে করলে হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হবে। এখন যারা গণভোট আগে চায়, তারাই আসলে নির্বাচন পেছাতে চাইছে।”
ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে নিয়ে তিনি বলেন, “তিনি সেখানে সাক্ষাৎকার দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, অথচ কোনো অনুশোচনা প্রকাশ করেননি। আমরা ভারত সরকারকে বলছি—শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিন, সবসময় বাংলাদেশের মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নেবেন না।”
সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নজমুল হক নান্নু, ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

