বয়স যেন তার কাছে কেবলই একটি সংখ্যা। ৩৮ পেরিয়েছে কয়েক মাস আগে, তবুও মাঠে লড়াইয়ের আগুন এখনো নিভে যায়নি। এরই মধ্যে বার্তা দিয়েছেন—ফুটবলের মাঠে দেখা যাবে তাকে আরও কয়েক বছর। সেই ইঙ্গিতই মেলে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামির সঙ্গে তার নতুন তিন বছরের চুক্তিতে।
ক্লাবটির নির্মাণাধীন নতুন স্টেডিয়াম ফ্রিডম পার্কে বসে সম্পন্ন হয় এই চুক্তি। আগামী বছর থেকেই এটিই হবে ইন্টার মায়ামির নতুন ঘরের মাঠ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চুক্তির ভিডিও প্রকাশ করে ক্লাবটি লিখেছে—“He is home” (তিনি থাকছেন)।
চুক্তি নবায়নের পর মেসি বলেন,
“এখানে থাকতে পেরে এবং এই প্রকল্পের অংশ হতে পেরে আমি খুব খুশি। ফ্রিডম পার্কে খেলার স্বপ্ন এখন এক সুন্দর বাস্তবতায় রূপ নিয়েছে। মায়ামিতে আসার পর থেকে দারুণ সময় কাটাচ্ছি, তাই এখানে খেলা চালিয়ে যেতে পারাটা সত্যিই আনন্দের।”
তিনি আরও বলেন,
“আমরা সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি সেই মুহূর্তটির জন্য, যখন অবশেষে ফ্রিডম পার্কে খেলতে পারব। নতুন ঘরে খেলার অভিজ্ঞতা নিতে এবং আমাদের ভক্তদেরও তা উপভোগের সুযোগ দিতে তর সইছে না।”
ইন্টার মায়ামির সহ-মালিক ও ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ডেভিড বেকহ্যাম বলেন,
“আমাদের লক্ষ্য ছিল বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের ইন্টার মায়ামিতে আনা। আমরা তা করতে পেরেছি। আমরা এনেছি সেই খেলোয়াড়কে, যিনি ফুটবল ইতিহাসের সেরা। এটি মায়ামির প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন, একই সঙ্গে শহর ও ক্লাবের প্রতি মেসির দায়বদ্ধতারও প্রকাশ।”
২০২৩ সালে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছেড়ে আড়াই বছরের চুক্তিতে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়েছিলেন মেসি। সেই চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই নতুন চুক্তিতে আবদ্ধ হলেন তিনি। যেখানে অনেক ফুটবলার ৪০ ছোঁয়ার আগেই অবসরের কথা ভাবেন, সেখানে ৮ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী ও বিশ্বকাপজয়ী মেসি যেন উল্টো পথে হাঁটছেন। তার এই সিদ্ধান্তে ভক্তদের মধ্যে বইছে আনন্দের জোয়ার।

