নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলেছে, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় নেই। মাঠ পর্যায়ের বাহিনীপ্রধানেরাও উদ্বেগের কিছু দেখছেন না। তারা সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন।
গতকাল সোমবার (২০ অক্টোবার ২০২৫) তারিখ আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভায় পুলিশ জানায়, নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে সারাদেশে ৭৫৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত সক্রিয় থাকবে। এতে নির্বাচনের মাঠে শৃঙ্খলা বজায় রাখা সহজ হবে বলে মনে করছে পুলিশ।
সভায় জানানো হয়, নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য দেড় লাখ পুলিশ, ৯০ হাজার থেকে এক লাখ সেনাসদস্য এবং সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় লাখ আনসার সদস্য মোতায়েন করা হবে। মাঠে পুলিশের বডিওর্ন ক্যামেরা ও ড্রোন ব্যবহারেরও ব্যবস্থা থাকবে।
সভায় সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রতিনিধি, এনএসআই, ডিজিএফআই, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার ও এনটিএমসির শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভুয়া তথ্য প্রতিরোধ, ও বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়েও আলোচনা হয়।
ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভোটের উপযোগী রয়েছে, বাহিনীগুলোর মধ্যেও কোনো উদ্বেগ নেই। তিনি আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পাঁচ দিনের বদলে আট দিন মাঠে রাখার প্রস্তাব এসেছে—নির্বাচনের আগে তিন দিন, নির্বাচনের দিন এবং পরবর্তী চার দিন।বার

