দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ
ঢাকাFriday , 12 September 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. কর্পোরেট
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. ধর্ম
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ প্রতিবেদন
  12. রাজনীতি
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. সারাদেশ

সবচেয়ে বেশি বেকার ঢাকা বিভাগে, শীর্ষে স্নাতক ডিগ্রিধারীরা

বার্তা কক্ষ
September 12, 2025 11:01 am
Link Copied!

সবথেকে বেশি বেকার ঢাকা বিভাগে। বিভাগটিতে ৬ লাখ ৮৭ হাজার বেকার রয়েছে। তারপরই দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগ। বৃহস্পতিবার শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৪-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সেখানেই জানানো হয়েছে এ তথ্য।

বিভাগভিত্তিক হিসাবে ঢাকার পরই চট্টগ্রাম বিভাগে বেকারের সংখ্যা ৫ লাখ ৮৪ হাজার, রাজশাহীতে ৩ লাখ ৫৭ হাজার, খুলনায় ৩ লাখ ৩১ হাজার, সিলেটে ২ লাখ ১৬ হাজার, রংপুরে ২ লাখ ৬ হাজার, বরিশালে ১ লাখ ৩৯ হাজার ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৪ হাজার বেকার রয়েছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সংজ্ঞা অনুযায়ী, সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করে পারিশ্রমিক পেলে তাকে বেকার হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। এক মাস ধরে কাজপ্রত্যাশী এবং সবশেষ এক সপ্তাহে এক ঘণ্টা যদি মজুরির বিনিময়ে কাজের সুযোগ না পান, তাহলে তিনি বেকার হিসেবে গণ্য হবেন। যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সংজ্ঞা।

এ হিসেবে বাংলাদেশের বেকারত্বের সংখ্যা ২৬ লাখ ২৪ হাজার। তবে বাস্তবতায় সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করে জীবনধারণ অসম্ভব। আবার মনমত কাজ না পাওয়া ব্যক্তি আছেন প্রায় এক কোটি। এদের ছদ্ম বেকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

তবে উন্নত দেশের চিত্র ভিন্ন। উন্নত দেশগুলোর মানুষ সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করলে মজুরির পাশাপাশি রাষ্ট্র থেকে বেকারভাতা প্রদান করা হয় তাদের। এ কারণে উন্নত দেশে জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ সংগ্রহ করতে জটিলতায় পড়তে হয় না।

স্নাতক ডিগ্রিধারীরাই বেকার বেশি:
শিক্ষিত লোকরাই বেকার বেশি। বিবিএসের জরিপ অনুযায়ী, দেশের মোট বেকারের মধ্যে সাড়ে ১৩ শতাংশ স্নাতক ডিগ্রিধারী। ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ বেকার উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেছেন। অর্থাৎ, প্রতি ৫ জন বেকারের মধ্যে ১ একজন স্নাতক ডিগ্রিধারী বা উচ্চমাধ্যমিক সনদধারী। আর যাদের কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, তারা বেকার কম। বেকারদের মধ্যে মাত্র সোয়া ১ শতাংশ এ ধরনের ব্যক্তি রয়েছেন।

এদিকে বেকার যুবকদের কী অবস্থা? ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণদের মধ্যে বেকারসংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। দেশে মোট বেকারের মধ্যে ৭৬ শতাংশের বয়স ১৫ থেকে ২৯ বছর। এই বয়সী তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার সবথেকে বেশি, ৮ শতাংশের বেশি। ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী বেকার তরুণদের প্রায় ২৯ শতাংশের মতো স্নাতক ডিগ্রিধারী। অর্থাৎ, স্নাতক ডিগ্রিধারীদের তিনজনের মধ্যে একজনের মতো বেকার।

বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনদের অনুরোধ জানিয়েছেন ৩৬ শতাশ চাকরিপ্রার্থী:
বিবিএসের জরিপে দেখা গেছে, চাকরি খোঁজার জন্য ১০ ধরনের পদ্ধতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জরিপ অনুযায়ী, চাকরি পাওয়ার জন্য বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের কাছে প্রায় ৩৬ শতাংশ চাকরিপ্রত্যাশী অনুরোধ জানিয়েছেন। সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রায় ২৬ শতাংশ প্রার্থী চাকরি খুঁজেছেন। প্রায় ১২ শতাংশ চাকরিপ্রার্থী সরসারি বিভিন্ন অফিস ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাকরি খুঁজেছেন।

তিন ধরনের বেকারত্ব:
বিশাল অঙ্কে তিন ধরনের বেকারত্ব। যেমন- সামঞ্জস্যহীনতাজনিত বেকারত্ব, বাণিজ্য চক্রজনিত ও কাঠামোগত বেকারত্ব। শ্রমবাজারের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে যদি ঘাটতি থাকে তাহলে তাকে বলা হয় সামঞ্জস্যহীন বেকারত্ব। উত্তরবঙ্গ ও হাওর অঞ্চলে এ ধরনের বেকারত্ব দেখা যায়। শিল্পকারখানা ও সেবা খাতের যে ধরনের কর্মী প্রয়োজন, সেই ধরনের কর্মীর সরবরাহ যদি কম থাকে তাহলে সেটি সামঞ্জস্যহীন বেকারত্ব।

অর্থনীতির চাঙাভাব বা মন্দাভাবের জন্যও অনেক সময় বেকারত্ব বাড়ে কিংবা কমে। যেমন, মহামারি করোনাভাইরাসের সময় বেকারত্বের সংখ্যা বেড়েছিল। যা বাণিজ্য চক্রজনিত বেকারত্ব। আবার প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের জন্যও বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়। যাকে বলা হয় কাঠামোগত বেকারত্ব।