জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বিদ্রোহী কবি হিসেবে খ্যাত নজরুল ছিলেন বাংলা সাহিত্যের অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক। মৃত্যুর এতো বছর পরেও শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিবাদী কন্ঠস্বর হয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্মে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন কবি নজরুল।
তিনি শুধু কবি নন, ছিলেন সংগীতজ্ঞ, নাট্যকার-দার্শনিক। অসাম্প্রদায়িক বাণী, শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে তার লেখা আজও অনুপ্রেরণার উৎস।
দীর্ঘ রোগভোগের পর ঢাকায় ১৯৭৬ সালের এই দিনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নজরুল। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে সমাহিত করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে।
নজরুল সবসময়ই শোষিতের পক্ষে, যুগে যুগে নতুন প্রজন্মের মাঝে জ্বালিয়ে রেখেছেন বিদ্রোহের স্ফুলিঙ্গ।
কবি নজরুল ইনিস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী বলেন, রণাঙ্গনে কবির গান শুনে মুক্তিযোদ্ধারা এতোটাই অনুপ্রাণিত হতেন যে রেডিওতে যখন গান বাজতো, সেই মুহূর্তে রেডিওর সামনে দাঁড়িয়ে স্যালুট করতেন। এরপর ২৪’এর গণঅভ্যুত্থানে নজরুল যেন নতুন রূপে ফিরে এলেন।
যদিও জাতীয় কবির সরকারি গেজেট প্রকাশে লেগে গেল ৫৪টি বছর, তবুও নজরুলকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে কবি নজরুল ইনিস্টিটিউট। খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে নজরুলের হারিয়ে যাওয়া গানের খাতা।
কবি নজরুল ইনিস্টিটিউট নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী বলেন, কুইটিসেন্স অব নজরুল- কবির পুরো সাহিত্য সমগ্র থেকে সংক্ষিপ্ত আকারে একটি বই তৈরি করা হয়েছে। বইটি এক হাজার পৃষ্ঠার বেশি। বইটি বের হলে বিশ্বের অন্যান্য ভাষায় নজরুলকে অনুবাদ করা যাবে বলে আশা করছি।
নজরুল তার সৃষ্টিতেই উজ্জ্বল মহাতারকা, তবুও তাকে চর্চায় ও লালনে উৎসাহিত করতে সরকারি উদ্যোগের বিকল্প নেই।

                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    