দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ
ঢাকাMonday , 18 August 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্যপ্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ প্রতিবেদন
  11. রাজনীতি
  12. লাইফস্টাইল
  13. শিক্ষা
  14. সারাদেশ
  15. স্বাস্থ্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিদেশে পাচার হওয়া ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান

বার্তা কক্ষ
August 18, 2025 9:14 am
Link Copied!

বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার করে বিভিন্ন দেশে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তোলার তথ্য পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচটি দেশের সাতটি শহরে অনুসন্ধান চালিয়ে এই তথ্য পাওয়া গেছে। বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে জানিয়েছেন সিআইসির মহাপরিচালক আহসান হাবিব।

রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান ও সিআইসির মহাপরিচালক আহসান হাবিব প্রধান উপদেষ্টার কাছে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নয়টি দেশে ৩৫২টি বিদেশি পাসপোর্টের খোঁজও মিলেছে অনুসন্ধানে। টাকার বিনিময়ে অর্জিত এসব পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছেন কিছু বাংলাদেশি। দেশগুলো হলো—অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা, অস্ট্রিয়া, ডমেনিকা, গ্রেনেডা, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, নর্থ মেসিডোনিয়া, মাল্টা, সেন্ট লুসিয়া ও তুরস্ক।

সিআইসির মহাপরিচালক আহসান হাবিব জানান, এখন পর্যন্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে পাচারকৃত অর্থে গড়ে তোলা ৩৪৬টি সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। এটি কেবল অনুসন্ধানের আংশিক চিত্র। এসব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে বাংলাদেশের অনুকূলে ফিরিয়ে আনা এবং জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিতে কাজ চলছে। ছয়টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সংস্থা এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে বলেও তিনি জানান।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা শেখ হাসিনার আমলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডাটাবেজ থেকে বহু তথ্য মুছে ফেলে। তবে সিআইসি ইতোমধ্যে সেই তথ্য উদ্ধারে সক্ষমতা অর্জন করেছে।

বিস্তারিত শোনার পর প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন, অর্থ পাচারকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা এবং সব কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, “এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে সম্পত্তি তৈরি করতে না পারে।”

দেশের অর্থনৈতিক খাতের এই লুটপাটকে ভয়াবহ দেশদ্রোহ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর দেশ বিনির্মাণ করতে হলে অবশ্যই এই লুটেরাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশের সম্পদকে কীভাবে লুটপাট করেছে কিছু মানুষ, তা জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে। সে জন্য সবগুলো সংস্থাকে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন প্রধানা উপদেষ্টা।

সিআইসিকে অনুসন্ধান চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যতদূর সম্ভব অনুসন্ধান আরও বিস্তৃত করতে হবে এবং সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।