নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ব্যবসায়ী মহলে ফিরতে শুরু করেছে আশাবাদ। তবে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও আইনশৃঙ্খলার চ্যালেঞ্জ এখনো রয়ে গেছে সরকারের সামনে। উদ্যোক্তারা বলছেন, বিনিয়োগ পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার আগে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
অন্তবর্তী সরকারের কাছে ব্যবসার পরিবেশ, জ্বালানি নিরাপত্তা ও আর্থিক খাত সংস্কারের প্রত্যাশা ছিল ব্যাপক। কিন্তু এক বছরে বড় কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা। উল্টো জ্বালানি সঙ্কট, ব্যাংক খাতের অনিশ্চয়তা ও উচ্চ সুদের কারণে বিনিয়োগ কমেছে। বিদেশি বিনিয়োগেও আগ্রহ ছিল না। ফলে স্থবির হয়ে আছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।
তবে ৫ আগস্ট জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে কিছুটা আশার সঞ্চার হয়েছে ব্যবসায়ী মহলে। আনোয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান মানোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখন নির্বাচনের তারিখ ঘনিয়ে আসায় দেশে সস্তির হাওয়া বইছে। আমরা বিশ্বাসের জায়গা খুঁজে পাচ্ছি, আশার আলো দেখছি।’ তিনি যোগ করেন, ‘যোগ্য জনশক্তি ছাড়া বিনিয়োগ টেকসই হবে না। বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পারলে কিছুটা সুরক্ষামূলক নীতি মেনে চলতে হবে।’
বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান মনে করেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও আশাবাদী হবেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের রোডম্যাপের মাধ্যমে বিনিয়োগের পরিবেশ ফিরবে। দীর্ঘমেয়াদে সরকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে।’
ডিসিসিআই সভাপতি তাসকিন আহমেদ জানান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তার মতে, ‘ব্যাংক খাত পুনর্গঠনও জরুরি। এসব সমস্যার জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে উচিত ব্যবসার পরিবেশে হস্তক্ষেপ না করা।’
এদিকে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ডিসেম্বরেই তফসিল ঘোষণা করা হবে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হলে বাংলাদেশ আবারও বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাবে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ অ্যাডভোকেট মোঃ শরীফ মিয়া
অফিস ঠিকানা: বাড়ি নং ১৫ (৬ষ্ঠ তলা), রোড নং ১৯, সেক্টর নং ১১, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০
somriddhabangladesh@gmail.com
Copyright © 2025 দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ. All rights reserved.