ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পরিকল্পনা জানালো কানাডা। আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে আসবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের পর তৃতীয় দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদা দেয়ায় এগিয়ে আসলো দেশটি।
স্থানীয় সময় বুধবার (৩০ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। তিনি বলেন, ইসরায়েল গাজায় চলমান আগ্রাসন বন্ধ না করলে এমন পদক্ষেপ নেবে দেশটি।
দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান প্রক্রিয়া নিশ্চিত করাই লক্ষ্য বলে জানান কার্নি। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেও অঙ্গীকার অনুযায়ী সংস্কার দেখতে চায় কানাডা।
কার্নির শর্ত, ২০২৬ সালে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে গাজায় এবং তাতে অংশ নিতে পারবে না হামাস। গত সপ্তাহেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির পরিকল্পনা জানায় ইউরোপের পরাশক্তি ফ্রান্স। কয়েকদিনের মাথায় মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) একই পদক্ষেপ নেয় যুক্তরাজ্য।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্ত ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়াকে নতুন গতি দিতে পারে, কিন্তু তা ইসরাইলি সরকারের সঙ্গে কানাডার সম্পর্কে টানাপোড়েনও তৈরি করবে।
গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষিতে বিশ্বজুড়ে ইসরাইলের প্রতি সমর্থন কমছে, আর কানাডার এই সিদ্ধান্ত সেই প্রবণতাকে আরও শক্তিশালী করতে পারে। এটি কি শান্তির পথ প্রশস্ত করবে, নাকি সংঘাত আরও জটিল করবে—সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।
সূত্র: রয়টার্স, আল জাজিরা