যশোর সদর উপজেলায় বাকি টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে আবু বক্কার (৫৩) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দেয়াড়া ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবু বক্কার ওই গ্রামের মৃত হোসেন কবিরাজের ছেলে।
এরপর উত্তেজিত গ্রামবাসী ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একই গ্রামের নির্মল কুমার সরকার (৪৫) ও তার স্ত্রী সরস্বতী সরকারকে (৪০) মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেন।স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে আবু বক্কার তার মুরগি বিক্রির বকেয়া টাকা চাইতে যান একই এলাকার নির্মল কুমারের বাড়িতে। ওই সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নির্মল কুমার (৪৫) ও তার স্ত্রী বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে আবু বক্কার গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন ও আবু বক্কারের স্বজনরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে আবু বক্কারের প্রতিবেশী মিলন হোসেন বলেন, আবু বক্কার সম্পর্কে আমার দাদা হন। ঘটনার সময় আমি বাজারে ছিলাম। মারধরের কথা জানতে পেরে বাড়ি গিয়ে দেখি দাদা বেশ অসুস্থ। এরপর তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, বাকি টাকা আদায় করতে গিয়ে দেনাদারের লাঠির আঘাতে আবু বক্কার নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে নির্মল কুমার ও তার স্ত্রীকে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে।