দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ
ঢাকাTuesday , 22 July 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. কর্পোরেট
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. বিনোদন
  12. বিশেষ প্রতিবেদন
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সাড়ে ১২টার মধ্যে কেউ কথা না বললে সড়ক অবরোধ করবেন শিক্ষার্থীরা

বার্তা কক্ষ
July 22, 2025 12:29 pm
Link Copied!

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের গোলচত্বরে সকাল ১০টা থেকে জমায়েত হন শত শত শিক্ষার্থী। তারা বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় ৬ দফা দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

আন্দোলন কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, দুপুর সাড়ে বারোটার মধ্যে তাদের সঙ্গে যদি সরকারের কোনো প্রতিনিধি কথা বলতে না আসে, তাহলে তারা উত্তরা বিএনএস সেন্টারের সামনের রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করবেন।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমরা বুঝতে পারছি সরকার আমাদের কথা শুনবে না। আমরা সরকারকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিতে চাই, তারা যদি এর মধ্যে আমাদের সঙ্গে এসে কথা না বলে, তাহলে আমরা রাস্তা অবরোধ করব। আমরা রাস্তা অবরোধ না করলে সরকার আমাদের কথা শুনবে না।

এর আগে, ‘বিচার চাই না, সন্তানের লাশ চাই’, ‘সঠিক লাশের হিসাব চাই’—এমন ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে শিক্ষার্থীরা গোলচত্বরে সড়কের ওপর বসে পড়েন। পুলিশ একাধিকবার তাদের সরে যেতে বললেও তারা সরেননি। তারা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা কোনো সহিংসতা চাই না। কিন্তু অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল—কেউ দায় নিচ্ছে না। কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা এ অবিচারের বিচার চাই।

শিক্ষার্থীদের ৬য় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে— নিহতদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ, আহতদের নির্ভুল তালিকা, শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা, ক্ষতিপূরণ প্রদান, ঝুঁকিপূর্ণ প্লেন বাতিল, প্রশিক্ষণ পদ্ধতি সংস্কার।

প্রসঙ্গত, সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টার পর রাজধানীর উত্তরায় দুর্ঘটনায় পড়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিল। যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে।

দুর্ঘটনার পরপর উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। উত্তরাসহ আশপাশের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হতাহতদের উদ্ধার করা শুরু করে। পরে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় বিজিবি ও সেনাবাহিনী। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে হতাহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ দুর্ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে এবং বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৮ জন।