🔍 ১৯৬৬ সালের চাইনিজ রেপ্লিকা — এটা কী?
১৯৬৬ সালে চীন তৈরি করেছিল তাদের প্রথম জেট যুদ্ধবিমানগুলোর একটি, যা মূলত ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের ডিজাইনের অনুকরণ (রেপ্লিকা)। বিশেষ করে:
🇨🇳 Shenyang J-6 → এটি আসলে ছিল সোভিয়েত MiG-19 ফাইটারের চাইনিজ সংস্করণ।
J-6 (MiG-19 এর রেপ্লিকা) প্রথমবার আকাশে ওড়ে ১৯৫৮ সালে, কিন্তু ১৯৬০-এর দশকে ব্যাপক উৎপাদন হয় এবং এটি বিভিন্ন দেশকে সরবরাহও করা হয়েছিল।
🌍 কেন বিভিন্ন দেশ পুরনো যুদ্ধবিমান এখনো ব্যবহার করে?
১. কম খরচে প্রশিক্ষণ:
উন্নয়নশীল দেশগুলো এই পুরনো বিমানগুলোকে ট্রেইনিং জেট হিসেবে ব্যবহার করে পাইলটদের প্রশিক্ষণের জন্য।
টেকনোলজি সীমাবদ্ধতা:
অনেক দেশের কাছে আধুনিক যুদ্ধবিমান কেনার বাজেট বা প্রযুক্তিগত সক্ষমতা নেই, তাই তারা রেটায়ার্ড বা পুরনো বিমান দিয়ে সীমিত আকাশ প্রতিরক্ষা বজায় রাখে।
ড্রোন টার্গেট বা টেস্ট:
কিছু পুরনো যুদ্ধবিমানকে রিমোট কন্ট্রোল করে ড্রোন টার্গেট হিসেবে ব্যবহার করা হয় – যাতে মিসাইল বা অস্ত্র পরীক্ষা করা যায়।
গেরিলা বা বিদ্রোহী গোষ্ঠী:
যুদ্ধবিধ্বস্ত বা স্বীকৃত সরকারবিহীন অঞ্চলগুলো অনেক সময় পুরনো স্টক থেকে এসব বিমান সংগ্রহ করে।
✈️ বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি সম্ভবত কী ছিল?
যদি কোনো সংবাদে বলা হয় যে বিমানটি ছিল ১৯৬৬ সালের “চাইনিজ রেপ্লিকা”, তাহলে সেটি হয়তো Shenyang J-6 (MiG-19 clone) বা অন্য কোনো চাইনিজ ক্লোনড যুদ্ধবিমান।
এ ধরনের বিমান:
অত্যন্ত পুরনো প্রযুক্তির
যান্ত্রিক ত্রুটির ঝুঁকি বেশি
ব্যবহার হয় সাধারণত প্রদর্শনী, প্রশিক্ষণ, বা গেরিলা কাজে
🚨 ঝুঁকিপূর্ণ কেন?
পুরনো যন্ত্রাংশের জন্য মেইনটেনেন্স কঠিন
ব্ল্যাক বক্স বা আধুনিক ন্যাভিগেশন না থাকায় দুর্ঘটনার কারণ বোঝা কঠিন
আকাশে ভরসাযোগ্যতা কম