আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনদিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে পাল্লা দিয়ে। বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। সবশেষ সপ্তাহজুড়ে যেমন কিছু মুদ্রা স্থিতিশীল ছিল, আবার দামে উত্তরণ-অবনমনও হয়েছে অনেক মুদ্রায়। মার্কিন ডলার স্থিতিশীল থাকলেও কমেছে বেশিরভাগ মুদ্রার বিনিময়মূল্য।
এনসিসি ব্যাংকের তথ্য মতে মার্কিন ডলার সর্বোচ্চ ১২২ টাকায় অপরিবর্তিত রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) পাউন্ড লেনদেন হয় সর্বোচ্চ ১৬৬ টাকা ৯৭ পয়সায়। সোমবার সর্বনিম্ন দর ছিলো ১৬৫ টাকা ৮৫ পয়সা।
বেড়েছে ইউরোর দর। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সর্বোচ্চ ১৪৪ টাকা ৬৫ পয়সা দরে বিনিময় হয় মুদ্রাটি। সর্বনিম্ন দর ছিলো মঙ্গলবার ১৪৩ টাকা ৮৮ পয়সা।
তেমন পরিবর্তন ছিল না অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বিনিময়মূল্যে। সর্বোচ্চ দর ছিলো বুধবার ৮০ টাকা ১৩ পয়সা। সর্বনিম্ন ছিল ৭৯ টাকা ১৩ পয়সা। একই অবস্থা মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের দরে। সোমবার সর্বোচ্চ দর ছিলো ২৮ টাকা ৭৯ পয়সা। বুধবার বিনিমিয়মূল্য ছিলো সর্বনিম্ন ২৮ টাকা ৭৪ পয়সা।
অপরিবর্তিত ছিল সিঙ্গাপুর ডলারের দর। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ ৯৬ টাকা ৬৯ পয়সায় হাতবদল হয় মুদ্রাটি। রোববার সর্বনিম্ন দর ছিলো ৯৬ টাকা ৩৬ পয়সা।
সপ্তাহজুড়ে তেমন পরিবর্তন ছিল না সৌদি রিয়ালের ক্ষেত্রে। ৩২ টাকা ৬৬ পয়সায় লেনদেন হয়েছে মুদ্রাটি। বেড়েছে কানাডিয়ান ডলারের দামও। বুধবার সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ৮৯ টাকা ৭৫ পয়সা দরে। আর ভারতীয় রুপির জন্য গুনতে হয়েছে সর্বোচ্চ ১ টাকা ৪৪ পয়সা।
