গোপালগঞ্জে বুধবার কয়েক দফায় সংঘর্ষের পর ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারি করেছে সরকার। যা শেষ হওয়ার কথা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায়। এ অবস্থায় জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে চাপা শঙ্কা বিরাজ করছে। সড়ক, বিপণীবিতানে লোকজনের উপস্থিতি কম। কয়েকজনকে আটকেরও খবর পাওয়া গেছে।
বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ এর ২৪ ধারায় কারফিউ অমান্য করলে কী ধরনের শাস্তি হতে পারে সে বিষয়ে উল্লেখ আছে। এতে বলা হয়েছে, ‘যদি কোন ব্যক্তি এই ধারার অধীন প্রদত্ত আদেশ লঙ্ঘন করেন, তবে তিনি এক বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।’
কারফিউ কখন জারি হয়
দেশে এর আগে কারফিউ জারি হয়েছিল গত বছর ছাত্র আন্দোলন চলার সময়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির টানা রক্তাক্ত সংঘাতের মুখে কারফিউ জারি করেছিল তৎকালীন সরকার। সে সময় আইনমন্ত্রী (তৎকালীন) বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘সহিংসতা থামানো এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো রক্ষার জন্য সরকার কারফিউ দিতে বাধ্য হয়েছে।’
গোপালগঞ্জে বুধবার দিনভর কয়েক দফায় হামলা, সংঘর্ষের পর সরকারের পক্ষ থেকে কারফিউ জারির ঘোষণা দেয়া হয়।
১৯৭৪ সালের ওই বিশেষ ক্ষমতা আইনেই বলা আছে, ‘সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত শর্তে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা মহানগর এলাকায় পুলিশ কমিশনার, নির্দেশ দিতে পারেন যে, আদেশে বর্ণিত যেকোন অঞ্চল বা অঞ্চলে অবস্থানকারী কোন ব্যক্তি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা ব্যক্তির প্রদত্ত লিখিত অনুমতি ব্যতীত বাইরে অবস্থান করতে পারবে না।’