তিনজনের জিনগত উপাদান ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত আটটি শিশু জন্ম নিয়েছে। যাদের কারও শরীরে বংশগত রোগের লক্ষণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবিত এই পদ্ধতিতে একজন মা ও বাবার ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর সঙ্গে আরেকজন নারী দাতার একটি ডিম্বাণু ব্যবহার করা হয়। এই প্রযুক্তি দেশটিতে এক দশক ধরে বৈধ হলেও এবারই প্রথম মাইটোকন্ড্রিয়াল রোগ (সাধারণত বংশগত) থেকে মুক্ত শিশু জন্মের প্রমাণ মিলেছে।
মাইটোকন্ড্রিয়াল রোগের সম্ভাব্য লক্ষণগুলো হলো, শিশুর বিকাশে বিলম্ব, ক্লান্তি, মাইগ্রেন, পেশী দুর্বলতা, অন্ধত্ব, শ্রবণশক্তি হ্রাস, ডায়াবেটিস ও খিঁচুনি। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এই ধরনের বংশগত রোগ সাধারণত মায়ের মাধ্যমে সন্তানের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনজনের ডিএনএ ব্যবহার করে জন্ম নেওয়া শিশুদের বেশিরভাগ জিনগত উপাদান, অর্থাৎ তাদের জেনেটিক ব্লুপ্রিন্ট আসে মা-বাবার থেকে। তবে একটি ক্ষুদ্র অংশ (প্রায় ০.১ শতাংশ) আসে দ্বিতীয় নারীর (ডিম্বাণু দাতা) কাছে থেকে।
এক দশকেরও বেশি আগে নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিউক্যাসল আপন টাইন হাসপাতাল-এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট-এ এই পদ্ধতি নিয়ে কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালে এনএইচএস-এর অধীনে একটি বিশেষায়িত সেবা হিসেবে চালু হয়।
মাইটোকন্ড্রিয়াল রোগ নিয়ে এনএইচএস-এর বিশেষায়িত সেবার পরিচালক অধ্যাপক ববি ম্যাকফারল্যান্ড বলেন, ‘এ পদ্ধতির অপেক্ষা ও সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ ছিল। এখন জন্ম নেওয়া শিশুকে সুস্থ, স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে দেখাটা অসাধারণ অনুভূতি।’
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ অ্যাডভোকেট মোঃ শরীফ মিয়া
অফিস ঠিকানা: বাড়ি নং ১৫ (৬ষ্ঠ তলা), রোড নং ১৯, সেক্টর নং ১১, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০
somriddhabangladesh@gmail.com
Copyright © 2025 দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ. All rights reserved.