আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবণতি ঘটিয়ে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি আগামী ২১ জুলাই পেশাজীবীদের সম্মেলনস্থল পরিদর্শন শেষে’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, এটা স্পষ্ট ষড়যন্ত্র চলছে। যদি আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো যায় তাহলে নিশ্চয় কোনো না কোনো কর্নারের লাভ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমরা আশাবাদী, ইনশাআল্লাহ প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, নির্বাচন কমিশন যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা আশা রাখতে চাই, ইনশাআল্লাহ ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগের মধ্যে নির্বাচনের যে কমিটমেন্ট তারা করেছেন, সেগুলো বাস্তবায়ন করবেন।
মিটফোর্ড এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে মাথা থেঁতলে হত্যার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সোমবার জাতীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব স্পষ্টভাবে এবং লিখিত আকারে বলেছেন, ঘটনা-দুর্ঘটনা হোক, কোনো অন্যায়কে ছোট করে দেখা, কোনো অন্যায়কে বড় করে দেখার যে প্রবণতা, কোনো অন্যায়কে একটি কর্নার থেকে কোনো একটি দলের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা, এটিকে রাজনীতিকরণ করা ঠিক না।
ডা. জাহিদ বলেন, আজকে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেবকে যে সমস্ত কথা কতিপয় লোক বলেছেন, আমরা বলতে চাই, আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক, আমরা খালেদা জিয়ার সৈনিক, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজকে বাংলাদেশে মানুষ গণতন্ত্রের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে, আমরা কোনো ষড়যন্ত্রে পা দিতে চাই না। আমরা শুধু বন্ধুদেরকে বলতে চাই, ধৈর্য ধরুন। অন্যায় সমর্থন করবেন না। অন্যায়কে বিএনপি কোনোদিন প্রশ্রয় দেয় না, সমর্থন দেয় না।
‘জামায়াতে ইসলামীর এক নেতা বলেছেন, মিটফোর্ডের ঘটনার পরে জনগণ বিএনপিকে লালকার্ড দেখিয়েছে এবং এনসিপির এক নেতা বলেছেন, আগে তারা পাকিস্তানিদের পুনর্বাসন করেছে এখন মুজিববাদীদের পুনর্বাসন করছে’- এই বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমি উনারদের প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দিতে চাই না। কারণ আমি মনে করি, এই প্রশ্ন যারা করে তারা না বুঝে করে, তাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে, তাদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নিয়ে অনেক কথা বলা যায়। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কে কাকে লাল কার্ড, সবুজ কার্ড, সাদা কার্ড দেখাবে।
এসময় বিএনপির সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের রফিকুল আলম লাবু, নজরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, আমিরুল ইসলাম কাগজী, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের জাকির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
