দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ
ঢাকাWednesday , 9 July 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. কর্পোরেট
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয়
  9. তথ্যপ্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. বিনোদন
  12. বিশেষ প্রতিবেদন
  13. রাজনীতি
  14. লাইফস্টাইল
  15. শিক্ষা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে আবার শুল্কের অস্বস্তি

বার্তা কক্ষ
July 9, 2025 12:53 pm
Link Copied!

যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে নতুন করে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতিরিক্ত ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের চিঠি এই অস্বস্তির কারণ। বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের পণ্যে বিভিন্ন হারে এবার শুল্ক আরোপ করে একযোগে চিঠি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে মূল প্রতিযোগী দেশ চীন, ভিয়েতনাম, ভারত ও পাকিস্তানের নাম নেই। এটি বাংলাদেশের জন্য অসম প্রতিযোগিতার ইঙ্গিত দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাকের রপ্তানি কমলে দেশের পোশাক খাতে এর বড় প্রভাব পড়বে।

গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঠানো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশে বাংলাদেশের পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা জানানো হয়। আগামী ১ আগস্ট থেকে নতুন এই শুল্ক আরোপ হওয়ার কথা। নতুন এ হার কার্যকর হলে বাংলাদেশের পোশাকে শুল্ক দাঁড়াবে ৫১ শতাংশ। এর আগে গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশে ৬০ দেশের পণ্যে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশসহ বিভিন্ন হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তখন বাংলাদেশের পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলা হয়, যা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ৯ এপ্রিল। কার্যকরের দিন তিন মাসের জন্য দেশভিত্তিক বাড়তি শুল্ক আরোপ স্থগিত করা হয়। তিন মাসের এ শুল্ক বিরতির সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের ওপর নতুন করে শুল্কহার নির্ধারণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সরকারের উদ্যোগ যথেষ্ট নয়, লবিস্ট নিয়োগ চান রপ্তানিকারকরা 

শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দরকষাকষিতে সরকারের উদ্যোগ যথেষ্ট ছিল না বলে মনে করেন রপ্তানিকারক উদ্যোক্তারা। প্রথম দফা ৩৭ শতাংশ শুল্ক ঘোষণার পর গত প্রায় তিন মাসে বলার মতো কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি সরকার। কয়েকজন রপ্তানিকারক সমকালকে বলেন, কী আলোচনা হচ্ছে, কারা আলোচনা করছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি সরকারের তরফ থেকে।

প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু গতকাল সমকালকে বলেন, প্রথম দফা শুল্ক আরোপের ঘোষণার পরই সরকারকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে গ্রহণযোগ্য সমাধানের অনুরোধ জানিয়েছিলাম। প্রধান উপদেষ্টাকে সরাসরি সম্পৃক্ত হতে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। তিনি জানান, গতকালের চিঠির পর আবার আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য সময় চেয়েছেন তারা। বৈঠকে ওয়াশিংটনকে রাজি করাতে লবিস্ট নিয়োগের জন্য অনুরোধ জানানো হবে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা নিজেই যেন সরাসরি সম্পৃক্ত হন, সে ব্যাপারে ফের অনুরোধ জানানো হবে।

বিজিএমইএ সভাপতি জানান, শেষ পর্যন্ত বাড়তি শুল্ক কার্যকর হলে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পাবে। বিশেষ করে যেসব কারখানা যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি হারে রপ্তানি করে থাকে। কারণ, খুব শিগগিরই বিকল্প বাজার ধরা সম্ভব নয়। এ ছাড়া ভিয়েতনামের পণ্য বাংলাদেশের চেয়ে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ এগিয়ে থাকবে। সেটাকে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। অন্যদিকে ভারত, পাকিস্তানের বেলায় কী হারে শুল্ক আরোপ হয়, সেটাও দেখার বিষয়।

জানতে চাইলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন সমকালকে বলেন, বুধবার শুল্ক আরোপের বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি বৈঠক আছে। সেখানে কী সিদ্ধান্ত হয়, তার পর ধারণা করা যাবে রপ্তানিতে কী ধরনের প্রভাব পড়বে। তবে বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছি।

পাল্টা শুল্ক রপ্তানিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে বলে জানান বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে এহসান শামীম। তিনি বলেন, এখনই বাংলাদেশের ভয়ের কোনো কারণ নেই। তবে ট্রাম্প প্রশাসন চীনের ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত নেবে, ভারতের সঙ্গে কী শর্তে চুক্তি করবে এবং ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে কিনা– এই তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে বাংলাদেশের রপ্তানির গতিবিধি।

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি চীনে অতিরিক্ত শুল্ক বসায় এবং ভারতকে ছাড় না দেয়, তাহলে বাংলাদেশের ভয় কম থাকবে। এ ছাড়া ব্রিকসের দেশগুলোর ওপর যদি ১০ শতাংশ অতিরিক্ত পাল্টা শুল্ক আরোপ করে, তাতেও বাংলাদেশের সমস্যা হবে না বরং ভালো হবে। কারণ, এসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সমঝোতা না হলে দেশটি ভিয়েতনাম থেকে আমদানি কয়েক গুণ করবে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করার মতো সেই সক্ষমতা নেই ভিয়েতনামের। ফলে চীন, ভারত ও ব্রিকসের রপ্তানি আদেশগুলো বাংলাদেশেও স্থানান্তরিত হবে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রপ্তানিতে শুল্ক ৩৫ শতাংশ আরোপ করা হলেও মোটা দাগে সমস্যা হবে না।

বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি বলেন, শুল্ক আরোপ ঠেকাতে সরকারের প্রতি তাঁর পরামর্শ– ট্রাম্প প্রশাসন চীন ও ভারতের ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর রাখতে হবে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দরকষাকষির বিষয়ও চালিয়ে যেতে হবে।

শুল্কহার আসলে কত দাঁড়াচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশে বাংলাদেশের পণ্যে নতুন করে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ হলে প্রকৃত শুল্ক কত হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বাংলাদেশ যে ধরনের পণ্য রপ্তানি করে থাকে, সেসব পণ্যে বর্তমানে গড়ে ১৬ শতাংশ শুল্ক ধার্য রয়েছে। গত ২ এপ্রিলের ঘোষণায় সব দেশের জন্য ১০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হয়, যা ৫ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে। এতে বাংলাদেশের পণ্যের শুল্কহার দাঁড়ায় ২৬ শতাংশে। নতুন করে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ হলে মোট শুল্কহার দাঁড়াবে ৬১ শতাংশে। প্রধান উপদেষ্টার কাছে লেখা চিঠিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, নতুন শুল্ক প্রযোজ্য হবে খাতভিত্তিক বিদ্যমান শুল্কের অতিরিক্ত। এর অর্থ ৬১ শতাংশই হতে পারে শুল্ক।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য মোস্তফা আবিদ খান সমকালকে বলেন, নতুন করে যদি ৩৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হয়, তাহলে গত ৫ এপ্রিল কার্যকর হওয়া ১০ শতাংশ রহিত হবে। তাতে শুল্ক দাঁড়াবে ৫১ শতাংশ। রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, মোট শুল্কহার কত দাঁড়াবে, সে বিষয়ে তারা স্পষ্ট কিছু বলতে পারছেন না।

দরকষাকষির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ঠিক হবে: অর্থ উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক চূড়ান্ত না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, এটা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তরের (ইউএসটিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের বৈঠক হবে। গতকাল সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্য উপদেষ্টা আছেন। তিনি ৩ দিন আগে গেছেন। আজকেই বাণিজ্য টিম যাচ্ছে। মিটিংয়ের পর আমরা বুঝতে পারব। মিটিংয়ে কি কোনো উন্নতি হওয়ার আশা করা যায়– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সালেহউদ্দিন বলেন, আমরা আশা করি। আলোচনা যা-ই হোক, আমরা অন্যান্য পদক্ষেপ নেব। এখন বৈঠকটা মোটামুটি ইতিবাচক।

ভিয়েতনাম চেষ্টা করে ২৬ শতাংশ কমিয়েছে; বাংলাদেশের কেন মাত্র ২ শতাংশ কমানো হলো? তার মানে কি নেগোসিয়েশন ভালো হয়নি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এটা ঠিক যে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি মাত্র ৬ বিলিয়ন ডলার। ভিয়েতনামের ১২৫ বিলিয়ন ডলার। আমরা চেষ্টা করছি এত কম ঘাটতির বাস্তবতায় শুল্ক আরোপে যেন একটা যৌক্তিকতা থাকে।

উড়োজাহাজের পাশাপাশি ফুড ড্রিংক কিনতে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রাধান্য দেওয়া হবে 

গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কমানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে সরকারি খাতে ফুড ড্রিংক কেনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রাধান্য দেবে। উড়োজাহাজ এবং সামরিক যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও জানান তিনি।

এ ছাড়া আমাদের বিমান বহরের প্রায় সব এয়ারক্রাফট বোয়িং। আমাদের বিমানের ইনফ্রাস্ট্রাকচার যা আছে, সেটাও বোয়িং। কাজেই বোয়িং ফ্লাইট কেনার জন্য আমাদের কিছু আদেশ দেওয়ার কথা রয়েছে। আমরা সেভাবে আলোচনা করেছি। এ ছাড়া তুলা আমদানিকে আমরা উৎসাহিত করব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য আমাদের প্রধান বিবেচ্য বাণিজ্যিক স্বার্থ সংরক্ষণ। আমাদের কাছে তারা কিছু চেয়েছে; সেটা হলো শুল্ক কমানো। পর্যায়ক্রমে শুল্ক, ভ্যাট, সাপ্লিমেন্টারি ডিউটি, রেগুলেটরি ডিউটি; এগুলো যেন আমরা কমাই। সে ধরনের প্রস্তাব তারা করেছে। আমরা সেটা এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করার পরে সরকারের অন্য অংশীজনের সঙ্গে বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।

যুক্তরাষ্ট্রকে এককভাবে শুল্ক ছাড় সুবিধা দেওয়া যুক্তিসংগত হবে না 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এককভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্ক ছাড় সুবিধা দেওয়াকে সঠিক সিদ্ধান্ত মনে করে না। গতকাল নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, ট্রাম্পের আরোপ করা শুল্কে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। শুল্ক আরোপের বড় খড়্গ থেকে কিছুটা রেহাই পেতে হলে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে হবে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানির ক্ষেত্রে সব ধরনের পণ্যে শুল্ক শূন্য করাও যাবে না। এতে সমস্যা হতে পারে।

যেমন শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ দিলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনেক গাড়ি আমদানি হবে। সে ক্ষেত্রে চীন, জাপান ও ইইউভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত গাড়ি রপ্তানি করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে পারে, যা দেশের রাজস্ব আদায়ে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষত তৈরি করবে। তাদের মতে, মোটা দাগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেসরকারিভাবে পণ্য আমদানি বাড়ানোর সম্ভাবনা কম। কারণ বেসরকারি আমদানিকারকরা যে দেশে কম মূল্যে পণ্য পাবে, সেই দেশ থেকেই আমদানি করবে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে হলে দুই সরকারের মাধ্যমে (জিটুজি) আমদানি বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকার দেশটি থেকে বোয়িং, তুলাসহ কিছু পণ্যের আমদানি বাড়াতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার, আমদানি ৩ বিলিয়ন 

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার প্রায় ৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের। এর মধ্যে ২০ শতাংশ তৈরি পোশাক। রপ্তানি পণ্যের তালিকায় আরও রয়েছে জুতা, টেক্সটাইল সামগ্রী, ওষুধ ও বিভিন্ন কৃষিপণ্য। এ রপ্তানির বিপরীতে দেশটি থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পণ্য। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুই হাজার ৯২৭ ধরনের পণ্য আমদানি করেছে, যার আর্থিক মূল্য ৩৪ হাজার ২৮ কোটি টাকা বা ২৭৮ কোটি ৯২ লাখ ডলার। এর মধ্যে ১০ পণ্যের আমদানি মূল্যই হচ্ছে ২০৫ কোটি ৫৯ লাখ ডলার। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে জাহাজের স্ক্র্যাপ, সয়াবিন বীজ, তুলা, এলপি গ্যাস, এয়ারক্রাফটের যন্ত্রাংশ ইত্যাদি।