নতুন বাণিজ্য নীতির অনিশ্চয়তা আর বিশ্ব রাজনীতির উত্তেজনার মধ্য দিয়ে আবারও চমক দেখিয়েছে মার্কিন ডলার। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আকস্মিক ঘোষণা মার্কিন অর্থনীতির রূপরেখা পাল্টে দিয়েছে এবং বিশ্ববাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। খবর রয়টার্স
শুক্রবার (২৭ জুন) ডলারের মূল্য ইউরোর তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, যখন ট্রাম্প কানাডার সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনা অবিলম্বে বন্ধের ঘোষণা দেন। কানাডার ডিজিটাল সার্ভিসেস ট্যাক্সকে মূলত এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর প্রভাব হিসেবে কানাডিয়ান ডলার ডলারের তুলনায় ০.৫ শতাংশ কমে ১.৩৭ ডলারে নেমে এসেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ৫২ বছরে সবচেয়ে ভয়াবহ পতনের মুখে মার্কিন ডলার। বছরের প্রথমার্ধ শেষ হতে না হতেই বৈশ্বিক মুদ্রাগুলোর বিপরীতে ডলার সূচক ১০ শতাংশের বেশি হারিয়েছে-যা ১৯৭৩ সালে ফ্লোটিং এক্সচেঞ্জ রেট চালু হওয়ার পর প্রথমার্ধে সবচেয়ে বড় ধস।
ফরেক্সলাইভের প্রধান মুদ্রা বিশ্লেষক অ্যাডাম বাটন বলেন, ‘ট্রাম্পের অসংগতি বাজারে যে কোনো পূর্বানুমানকে এক মুহূর্তেই বদলে দিতে পারে। প্রথমে ডলার কেনার প্রবণতা দেখা গেলেও পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে তা আবার হ্রাস পাবে।’
কানাডার ডিজিটাল সার্ভিসেস ট্যাক্সের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা অবিলম্বে বন্ধ করার ঘোষণা দেন। এর প্রভাবে কানাডিয়ান ডলার মার্কিন ডলারের তুলনায় ০.৫ শতাংশ নিচে গেছে।
এছাড়াও, ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনিকে কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, তেহরান যদি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যায়, তবে তিনি ইরানের ওপর আবারো বোমা হামলার কথা বিবেচনা করবেন।
তবে একই দিনে ডলার ইউরোর বিপরীতে তিন বছর ছয় মাসের সর্বনিম্নে নেমে যায়, কারণ মার্কিন অর্থনীতির দুর্বলতা ও ফেডারেল রিজার্ভের সম্ভাব্য সুদের হার কমানোর কথা বাজার আশা করছিল।
মে মাসে মার্কিন ভোক্তা ব্যয় হঠাৎ কমে যাওয়া এবং বেকারত্ব দাবির বৃদ্ধি অর্থনীতির ঝুঁকি বৃদ্ধি করেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
ফেড চেয়ার জেরোম পাওয়েল গত সপ্তাহে কংগ্রেসে জানান, মুদ্রাস্ফীতি স্থিতিশীল না থাকলে এই গ্রীষ্মে সুদের হার কমানো হতে পারে। এদিকে, ট্রাম্প সম্ভবত পাওয়েলের স্থলাভিষিক্ত ঘোষণা করবেন বলে খবর, যা ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।
সপ্তাহভর ডলার সূচক ১.৪০ শতাংশ কমে ৯৭.৩৬ এ অবস্থান করছে, যা মে মাসের পর থেকে সবচেয়ে বড় পতন। ইউরো ১.৫৭ শতাংশ উর্ধ্বমুখী, স্টার্লিং ১.৮৫ শতাংশ লাভের পথে রয়েছে।অন্যদিকে, জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর মুদ্রানীতি এবং সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনার কারণে ইয়েনের তুলনায় ডলার কিছুটা শক্তিশালী হয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ অ্যাডভোকেট মোঃ শরীফ মিয়া
অফিস ঠিকানা: বাড়ি নং ১৫ (৬ষ্ঠ তলা), রোড নং ১৯, সেক্টর নং ১১, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০
somriddhabangladesh@gmail.com
Copyright © 2025 দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ. All rights reserved.