দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ
ঢাকাSaturday , 13 December 2025
  1. Blog
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. কর্পোরেট
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. জাতীয়
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. ধর্ম
  12. বিনোদন
  13. বিশেষ প্রতিবেদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ষড়যন্ত্র ঠেকাতে প্রতিশ্রুতি দলগুলোর এক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বার্তা কক্ষ
December 13, 2025 6:44 pm
Link Copied!

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা দলগুলোর প্রতি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান এবং সতর্ক করেন যে, ক্ষমতাচ্যুত শক্তি আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা সব ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।

বৈঠকে বিএনপির পক্ষে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের এবং আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস উইং জানায়, রাজনৈতিক নেতারা শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন। তারা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া রক্ষায় সব রাজনৈতিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছে।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, হাদির ওপর হামলা পূর্বপরিকল্পিত এবং এর পেছনে বড় শক্তির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীদের মূল লক্ষ্য হলো নির্বাচন প্রক্রিয়া ভেস্তে দেওয়া। এই হামলার মাধ্যমে তারা তাদের শক্তির প্রদর্শন ঘটাতে চেয়েছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে—ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে এবং প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহার করছে, যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।

হামলার প্রতিবাদে ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে সর্বদলীয় প্রতিবাদ সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি, ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক ঐক্যে যাতে বিভাজন না সৃষ্টি হয়, সে জন্য দলগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ও সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন নেতারা।

নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান আরও জোরদার করার দাবিও উঠে আসে বৈঠকে।

বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই সংকটময় সময়ে ঐক্যই সবচেয়ে বড় শক্তি। পারস্পরিক দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে। জামায়াত নেতা গোলাম পরওয়ার বলেন, একে অপরকে দোষারোপ করার প্রবণতা পরিহার করে পূর্বের মতো ঐক্য ধরে রাখতে হবে।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপচেষ্টা চলছে। মিডিয়া ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এই ন্যারেটিভ ছড়ানো হচ্ছে, যা ভবিষ্যৎ সরকারকেও বিপদে ফেলবে। তিনি বলেন, অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, নিজেদের মধ্যে ঐক্য না থাকলে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থাই কার্যকর হবে না। রাজনৈতিক স্বার্থে বিভক্তি তৈরি হলে অপশক্তিরাই লাভবান হয়।

বৈঠকের শেষ পর্যায়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যতের স্বার্থে সবাইকে দায়িত্বশীল ও সংযত থাকতে হবে। রাজনৈতিক মতভেদ থাকবে, তবে কাউকে শত্রু হিসেবে দেখার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নির্বাচনকালীন উত্তেজনা যেন নিয়ন্ত্রিত মাত্রার মধ্যে থাকে—সেদিকেও সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজনের সুযোগ নিয়েই আওয়ামী লীগ শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। তাই দলীয় স্বার্থের পাশাপাশি জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে ঐক্য বজায় রাখা এখন সময়ের দাবি।