বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আমাদের নেতা খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন। যেদিন তিনি বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখবেন, সেদিন যেন পুরো দেশ আন্দোলিত হয়ে ওঠে—আমরা সেই দিনটিকে বাংলাদেশের নতুন চেহারা গড়ার সূচনা হিসেবে দেখতে চাই।”
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ কর্মসূচির উদ্বোধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আজই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এমন একটি প্রতিনিধিত্বশীল জাতীয় সংসদ গঠন করতে চাই, যা দেশকে নতুন এক দিগন্তে নিয়ে যাবে। আর সেই নেতৃত্বে থাকবেন আমাদের নেতা তারেক রহমান।”
তিনি বলেন, “আপনাদের মাঝে আমি কিছুটা উদাসীনতা দেখছি। গত ১৫ বছর আপনারা লড়াই করেছেন—তারও আগে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু এবারের নির্বাচনই সবচেয়ে কঠিন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই লড়াই হলো এক শক্তির বিরুদ্ধে সামনে এগিয়ে যাওয়ার যুদ্ধ—এ জন্য আপনাদের দৃঢ় মনোভাব প্রয়োজন।”
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “তারেক রহমান যে ‘দেশ গড়ার নির্দেশনা’ দিয়েছেন, তা বাংলাদেশ রাজনীতিতে এক নতুন দৃষ্টান্ত। এই নির্বাচন আগের আওয়ামী আমলের নির্বাচন নয়—এটি হবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচন। জিততে হলে জনগণের ভালোবাসা অর্জন করতে হবে, মানুষকে কেন্দ্র পর্যন্ত আনতে হবে এবং তাদের ভোট নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি বলেন, “কে মনোনয়ন পেল বা পেল না—এ মুহূর্তে তা বিবেচনার বিষয় নয়। বিএনপি সবসময় ফরোয়ার্ড-লুকিং দল হিসেবে জনগণের কাছে ভবিষ্যতধর্মী চিন্তা উপস্থাপন করেছে।”
ফখরুল বলেন, “জাতির নেতৃত্ব দেবে বিএনপি। তারেক রহমান নতুন রাজনৈতিক ভাবনা সামনে আনছেন। আমরা যদি সেগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারি, তবে জনগণ তা গ্রহণ করবে এবং ধানের শীষে ভোট দেবে।”
তিনি আরও বলেন, “এখন আমাদের মূল লড়াই—নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় নিশ্চিত করা। সামনে নানা বাধা আসবে, আমাদের বিরুদ্ধে প্রচারণাও চলবে। কিন্তু এসব অতিক্রম করেই আমাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপি কখনোই পরাজিত হয়নি, হবেও না। কারণ বিএনপি জনগণের দল—মুক্তিযুদ্ধের দল—গণতান্ত্রিক সংগ্রামের দল। ঐক্যের শক্তি এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেতনা আমাদের সফল করবে।”
তিনি আরও বলেন, “১৯৭১ আমাদের অস্তিত্বের জায়গা। কেউ কেউ ‘একাত্তরের প্রজন্ম’কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করছে—এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের ধর্ম বা ইতিহাসকে ব্যবহার করে কেউ যেন বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে। আমাদের সংগ্রাম হলো অপশক্তিকে প্রতিহত করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার সংগ্রাম।”


