প্রতিদিন বন্দরে দুই থেকে তিন কোটি টাকার চাঁদা আদায় হতো—এমন তথ্য তুলে ধরেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গত এক বছরের কর্মকাণ্ড ও অগ্রগতি উপস্থাপনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাখাওয়াত হোসেন জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের কঠোর উদ্যোগে এখন চাঁদাবাজি আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে। ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রমকে একটি সুশৃঙ্খল আইনি কাঠামোর আওতায় আনা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের ওয়েলফেয়ার তহবিল থেকে নিয়মিত সহায়তা পাওয়ায় শ্রমিকদের আস্থা আরও সুদৃঢ় হয়েছে।
বেক্সিমকোর শ্রমিকদের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটির অধিকাংশ শ্রমিকই নতুন কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হয়েছেন। তাদের সব বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে। যদিও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে কিছু শ্রমিক বেকার হয়েছেন, তবে সংখ্যাটি তুলনামূলকভাবে কম। তিনি আরও উল্লেখ করেন, কয়েকজন গার্মেন্টস মালিক দেনা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে পালিয়েছেন।


