ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে অংশ নিতে বিদেশে থাকা ভোটারদের নিবন্ধন ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে ইতোমধ্যেই আড়াই লাখেরও বেশি ছুঁয়েছে—এক কথায়, প্রবাসীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে একটি নতুন এঙ্গেজমেন্ট ম্যাট্রিক্স তৈরি হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২টার আপডেট অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেখা যায়—মোট নিবন্ধন ২ লাখ ৫০ হাজার ৭৪৮। এর মধ্যে ২ লাখ ২৯ হাজার ৪৯২ জন পুরুষ এবং ২১ হাজার ২৫৬ জন নারী ভোটার তাদের ডিজিটাল উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন।
এদের মধ্যে ৪৩০ জনের আবেদন এখনও ভেরিফিকেশন লাইনে প্রসেসিং অবস্থায় রয়েছে, আর ২ লাখ ৫০ হাজার ৩১৮ জনের নিবন্ধন ইতোমধ্যে ফাইনাল অ্যাপ্রুভাল পেয়েছে।
প্রথমবারের মতো আইটি-সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালট সিস্টেম চালু করে ইসি একটি নতুন অপারেশনাল ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করেছে—যেখানে প্রবাসী, আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি এবং নির্বাচনি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে ডাকযোগে ব্যালট পাবেন, ভোট দেবেন, এবং রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ফেরত পাঠাবেন।
নিবন্ধন উইন্ডো খোলা হয়েছে গত ১৯ নভেম্বর, এবং চলবে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত—একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে উচ্চমাত্রার এনরোলমেন্ট নিশ্চিত করার জন্য এটি ইসির স্ট্র্যাটেজিক টাইমলাইন।
বর্তমানে যেসব দেশে নিবন্ধন অ্যাক্টিভ আছে—দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন, লিবিয়া, মিশর, হংকং, ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরবসহ এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকার অসংখ্য দেশ।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগে পোস্টাল ব্যালট প্রায় নিষ্ক্রিয় অবস্থায় ছিল—তাই এবার ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন এনে পুরো প্রক্রিয়াকে কার্যকর করা হয়েছে। প্রবাসীদের রেসপন্স পজিটিভ; আর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ও আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ কেমন হবে, তা নিবন্ধন টাইমলাইন শেষে স্পষ্ট হবে।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে ফুল স্কেলে। প্রাথমিকভাবে ৫০ লাখ প্রবাসী ভোটারের এনগেজমেন্ট টার্গেট করে এগোচ্ছে ইসি।


