২০২৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর শেষবারের মতো বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তুলেছিলেন সাকিব আল হাসান। সেই ম্যাচের পর আর জাতীয় দলে দেখা যায়নি দেশসেরা এই অলরাউন্ডারকে। কয়েক দফায় ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হলেও বাস্তবে তা আর হয়নি। এমনকি মিরপুর শেরে বাংলায় নিজের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার ইচ্ছেটিও পূরণ হয়নি তার।
তবে আশার দরজা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। কারণ এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেননি ৩৮ বছর বয়সী সাকিব। মাতৃভূমির হয়ে আবার মাঠে নামার স্বপ্ন যে এখনো তাকে নাড়া দেয়, তা নিজ মুখেই জানিয়েছেন তিনি।
পরিবারসহ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে নিয়মিত খেলছেন তিনি। এবার খেলতে গেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে, আইএলটি টি–টোয়েন্টিতে এমআই এমিরেটসের হয়ে।
এই টুর্নামেন্ট চলাকালীন ‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ নামের একটি পডকাস্টে অতিথি হয়ে হাজির হন সাকিব—সঙ্গে ছিলেন ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার মঈন আলী।
সেখানে দেশের হয়ে ফের খেলার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সাকিব বলেন, “বাংলাদেশে ফিরতে অবশ্যই চাই। কারণ আমি বাংলাদেশেরই সন্তান। ফিরে যেতেই হবে।”
নিজের জীবনধারা নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, “তোমরা যে ‘স্বাভাবিক জীবন’-এর কথা বলো, আমি আসলে কখনোই তা চাইনি। বাংলাদেশে আমি যে রুটিনে ছিলাম, সেটাই আমার কাছে নরমাল ছিল। সেই জীবন আমার ভালোই লাগত।”
তিনি জানান, “আমার কখনো খুব বেশি বন্ধুবান্ধব ছিল না। ছোটবেলা থেকেই বাইরে ঘোরাঘুরি কম করতাম। বোর্ডিং স্কুলে পড়েছি, আর ভালো গাইডলাইন পেয়েছি—এগুলোই আমাকে গড়ে তুলেছে।”


