মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের তাবাইন শহর গতকাল সন্ধ্যায় এক নির্মম আকাশ–আক্রমণের অভিঘাতে কেঁপে ওঠে। সামরিক জান্তার বিমান থেকে নিক্ষিপ্ত দুটি বোমা মুহূর্তেই শহরের স্বাভাবিক জীবনকে বিধ্বস্ত করে দেয়—এমনটাই শনিবার (৬ ডিসেম্বর) স্থানীয় প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা এএফপিকে নিশ্চিত করেছেন।

২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশটি এক অন্তহীন গৃহযুদ্ধে নিমজ্জিত। এরই ধারাবাহিকতায় ঘন ঘন বিমান হামলা এখন যেন নিত্যদিনের নিষ্ঠুর বাস্তবতা, যার সর্বশেষ শিকার তাবাইনের সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান—দুটি বোমার একটি সরাসরি আঘাত করে ব্যস্ত একটি চায়ের দোকানে, যা ছিল এলাকার মানুষের আড্ডা ও সামাজিকতার কেন্দ্র। সেই দোকান এবং আশেপাশের অন্তত বারোটি ঘর মুহূর্তেই ধূলিসাৎ হয়ে যায়। প্রাণ হারান অন্তত ১৮ জন, আহত হন আরও ২০ জন।
ঘটনার ১৫ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক উদ্ধারকর্মী জানান, তখনই সাতজনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়; পরে হাসপাতালে আরও ১১ জন succumb করেন।
এক বেঁচে যাওয়া প্রত্যক্ষদর্শী জানান—তিনি তখন চায়ের দোকানে বসে একটি বক্সিং ম্যাচ দেখছিলেন। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ যেন “কানে ছুরি চালিয়ে দেওয়ার মতো” লাগে। যুদ্ধবিমানের শব্দ শুনেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
শনিবার নিহতদের দাফন-কাফন সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে সামরিক জান্তার পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হয়নি।


