ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে ২৪২ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় দেশটির বেসরকারি বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই ১৭১। আহমেদাবাদ পুলিশের বরাত দিয়ে প্রাথমিকভাবে দেশটির গণমাধ্যমে বলা হয়, বিমানের সব আরোহী মারা গেছেন। আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনারও জানান, কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা তারা দেখছেন না।
তবে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলেছে, ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা থেকে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন ওই বিমানের এক যাত্রী। এমনকি তাকে হাঁটতেও দেখা গেছে।
এনডিটিভি বলেছে, ওই ব্যক্তি বিমানের ১১-এ আসনের যাত্রী ছিলেন। তার পরনে ছিল সাদা টি-শার্ট এবং কালো রঙের ট্রাউজার্স। তার টি-শার্টে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ দেখা যাচ্ছে। এছাড়া মুখ ও কপালে রয়েছে জখমের চিহ্ন।
ভয়াবহ এ বিমান দুর্ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা গেছে, বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের পর অনেকটা দুলতে দুলতে বিমানটি এগিয়ে যাচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পরই এটি বিধ্বস্ত হয়। এয়ার ইন্ডিয়ার এ বিমানটি সেখানকার একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে আঘাত হানে।
বিমান চলাচল বিষয়ক এক বিশেষজ্ঞ সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, বিমানটি উড্ডয়ন করার সঙ্গে সঙ্গে সম্ভবত এটিতে কয়েকটি পাখি আঘাত হেনেছিল। এতে করে পূর্ণ উড্ডয়নের জন্য যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন ছিল বিমানটি সেটি হারিয়ে ফেলেছিল। ফলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও বিমানটি আর উপরের দিতে নিতে পারেননি পাইলট।
সাবেক ক্যাপ্টেন সৌরভ ভাটনাগর নামের এ বিশেষজ্ঞ বলেছেন, “প্রথমত মনে হচ্ছে, একাধিক পাখির ধাক্কায় দুটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে যায়। উড্ডয়নটি নিখুঁত ছিল। কিন্তু ল্যান্ডিং গিয়ারটি উপরে তোলার আগেই বিমানটি নিচে নামা শুরু করে। এমনটি সাধারণত হয় যখন ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় অথবা বিমান আকাশে থাকার সামর্থ হারিয়ে ফেলে। তদন্তে আসল কারণ বেরিয়ে আসবে।”
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ অ্যাডভোকেট মোঃ শরীফ মিয়া
অফিস ঠিকানা: বাড়ি নং ১৫ (৬ষ্ঠ তলা), রোড নং ১৯, সেক্টর নং ১১, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০
somriddhabangladesh@gmail.com
Copyright © 2025 দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ. All rights reserved.