হঠাৎ হৃৎপিণ্ড দ্রুত ধকধক করা শুরু করলে অনেকেই ভয় পায়। এটি কি শুধুই মানসিক চাপ বা প্যানিক অ্যাটাকের কারণে, নাকি হৃৎপিণ্ডের কোনো গুরুতর সমস্যা, যেমন অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন। যদিও দুটির প্রাথমিক লক্ষণ অনেকটা মিল থাকে, তবে চিকিৎসা এবং সতর্কতার গুরুত্ব অনেকাংশে আলাদা।
মণিপাল হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ও কনসালট্যান্ট ডা. কেশব আর বলেছেন, প্যানিক অ্যাটাক এবং অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন উভয়ই হৃদস্পন্দন দ্রুত হওয়া, মাথা ঘোরা, ও ভয় সৃষ্টি করতে পারে। তবে অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন হলো হৃৎপিণ্ডের অস্বাভাবিক ছন্দ যা গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, আর প্যানিক অ্যাটাক হলো মানসিক চাপের প্রতিক্রিয়া। এই পার্থক্য বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন: এটি হলো হৃৎপিণ্ডের অস্বাভাবিক বৈদ্যুতিক সংকেতের কারণে হৃৎস্পন্দনের অনিয়ম ও দ্রুততা। সাধারণত বয়স্ক মানুষ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা স্ট্রোকের ইতিহাস রয়েছে এমন ব্যক্তিদের বেশি দেখা যায়।
প্রাথমিক লক্ষণ:
কেন তা দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন: এটি উপেক্ষা করলে স্ট্রোক, হার্ট ফেইলিওর বা বাম কক্ষ দুর্বল হওয়ার মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্যানিক অ্যাটাক: এটি হঠাৎ অত্যধিক ভয় বা আতঙ্কের আক্রমণ, যা কয়েক মিনিটের মধ্যে তীব্র হয়। সাধারণত মানসিক চাপ, পরীক্ষা, আবেগগত সমস্যা বা কোনো দৃশ্যমান কারণ ছাড়াই এটি ঘটতে পারে।
প্রাথমিক লক্ষণ:
কেন হয়:
ডা. কেশব আর আরও বলেছেন, বারবার দ্রুত হৃৎস্পন্দন হওয়া মানেই এটি অ্যানজাইটি নয়। অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন গুরুতর এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি করে, তাই তা দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। প্যানিক অ্যাটাক প্রাণঘাতী নয়, তবে জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করতে পারে এবং প্রয়োজনে থেরাপি, স্ট্রেস কমানো বা ওষুধ নেয়া যেতে পারে।
হঠাৎ বা নিয়মিত দ্রুত হৃৎস্পন্দন হওয়া কখনোই হালকাভাবে নেওয়ার বিষয় নয়। লক্ষণগুলো প্যানিক অ্যাটাক বা অ্যাট্রিয়াল ফিব্রিলেশন যেকোনো একটি হতে পারে। তাই প্রথম ধাপ হলো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইসিজি বা ইকোর মতো অন্যান্য টেস্ট করা। দ্রুত শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা নিলে গুরুতর জটিলতা এড়ানো সম্ভব।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ অ্যাডভোকেট মোঃ শরীফ মিয়া
অফিস ঠিকানা: বাড়ি নং ১৫ (৬ষ্ঠ তলা), রোড নং ১৯, সেক্টর নং ১১, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০
somriddhabangladesh@gmail.com
Copyright © 2025 দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ. All rights reserved.