বর্তমান বিশ্বে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এমনকি হৃদরোগে আক্রান্তে হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে আশঙ্খাজনক ভাবে। বিশেষ করে করোনারি আর্টারিতে জমে থাকা চর্বির আস্তরণ যা ব্লকেজ সৃষ্টি করে যা থেকেই জন্ম নিচ্ছে নানা জটিলতা। তবে আশার কথা হলো, নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে এই ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। এমনই তথ্য জানিয়েছেন অ-আক্রমণাত্মক কার্ডিওলজির বিশেষজ্ঞ ডা. বিমল ছাজের।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে ডা. ছাজের ব্যায়ামের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তার মতে, চর্বিযুক্ত খাদ্যাভ্যাস, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান এবং মানসিক চাপ এই সবকিছু মিলে ধীরে ধীরে ধমনিতে ফ্যাটি প্লাক তৈরি করে, যার ফলে রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন ব্যায়াম সরাসরি ধমনী থেকে ব্লকেজ দূর করতে না পারলেও, এটি ব্লকেজ প্রতিরোধে এবং প্রাথমিক অবস্থায় রোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ব্যায়ামের মাধ্যমে যেভাবে কমবে হৃদরোগের ঝুঁকি: ডা. ছাজের বলেন, “নিয়মিত কার্ডিওভাসকুলার এক্সারসাইজ যেমন হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার, সাইক্লিং, এর পাশাপাশি ফ্লেক্সিবিলিটি ট্রেনিং, রেজিস্ট্যান্স ওয়ার্কআউট (যেমন: স্কোয়াট, পুশ-আপস), যোগব্যায়াম এবং মাঝেমধ্যে স্ট্রেচিং করলেই ধমনির রক্তপ্রবাহ উন্নত হয় এবং প্লাক জমার গতি ধীর হয়। এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং কোলেস্টেরলও স্বাভাবিক থাকে।
তিনি আরও বলেন, এই ছোট ছোট পরিবর্তনগুলো দীর্ঘমেয়াদে হৃদ্স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায় হৃদ্রোগ।ডা. ছাজের পরামর্শ, হার্ট ভালো রাখতে চাইলে জীবনযাপনে ছোট কিন্তু ধারাবাহিক পরিবর্তন আনুন। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। কাজে বিরতির সময় একটু হাঁটুন বা স্ট্রেচিং করুন। এরসঙ্গে যোগ হোক পরিমিত খাবার এবং মানসিক প্রশান্তি। তাহলেই হৃদ্যন্ত্র থাকবে সুস্থ ও সক্রিয়।
প্রকাশক ও সম্পাদকঃ অ্যাডভোকেট মোঃ শরীফ মিয়া
অফিস ঠিকানা: বাড়ি নং ১৫ (৬ষ্ঠ তলা), রোড নং ১৯, সেক্টর নং ১১, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০
somriddhabangladesh@gmail.com
Copyright © 2025 দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ. All rights reserved.