দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ
ঢাকাThursday , 14 August 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. খেলাধুলা
  6. জাতীয়
  7. তথ্যপ্রযুক্তি
  8. ধর্ম
  9. বিনোদন
  10. বিশেষ প্রতিবেদন
  11. রাজনীতি
  12. লাইফস্টাইল
  13. শিক্ষা
  14. সারাদেশ
  15. স্বাস্থ্য

সারাজীবন দ্বীন প্রতিষ্ঠা-মানবতার কল্যাণে কাজ করে গেছেন আল্লামা সাঈদী

বার্তা কক্ষ
August 14, 2025 7:30 pm
Link Copied!

গভীর ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে সাবেক নায়েবে আমির, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ ও মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর অবদানের কথা স্মরণ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, তার ইলম, দাওয়াত ও ত্যাগময় জীবনকে।

তিনি ছিলেন সত্য ও ন্যায়ের এক নির্ভীক কণ্ঠস্বর, যিনি সারাজীবন আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা ও মানবতার কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তার কর্মপন্থা আমাদের মাঝে বেঁচে আছে। এই কর্মপন্থার পথ ধরে ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে মানবিক মর্যাদা সম্পন্ন একটি আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে আমরা সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।

দুই বছর আগে মৃত্যুবরণ করা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর অবদানের কথা স্মরণে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন জামায়াত আমির।

বিবৃতিতে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট রাতে পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ইন্তেকাল করেন। কাশিমপুর কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকায় এনে সন্ধ্যায় পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। কর্তব্যরত ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসায় যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। চিকিৎসায় অবহেলার বহু তথ্য প্রচারিত হয়েছে। ঐ অবস্থায় তার সন্তান ও স্ত্রীকে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি। এমনি এক পরিস্থিতিতে পিজি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ইন্তেকালের পর ঢাকায় তার জানাজা আদায় করতে দেয়া হয়নি। লক্ষ লক্ষ তৌহিদী জনতা ঢাকায় জানাজা আদায়ের দাবি জানালে পুলিশ তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি চালিয়ে শত শত লোককে আহত করে। অবশেষে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর লাশ তার পিরোজপুর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়। লক্ষ লক্ষ তৌহিদী জনতা আল্লামা সাঈদীর জন্য অশ্রুসিক্ত চোখে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।

আল্লামা সাঈদী এখন আমাদের মাঝে নেই। তিনি তার জীবন ও কর্ম আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে রেখে গেছেন। অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে তিনি দেশে-বিদেশ কুরআনের তাফসির করেছেন। অসংখ্য বক্তব্য ও ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হচ্ছে এবং মানুষ তার রেখে যাওয়া বক্তব্যে আকৃষ্ট হয়ে ইসলামী আদর্শে উজ্জীবিত হচ্ছেন। জাতীয় সংসদের সদস্য ও বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান এবং সদস্য হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গিয়েছেন। তাঁর রচিত ইসলামী সাহিত্য, তাফসির ও সিরাত গ্রন্থ যুগ যুগ ধরে মানুষকে আলোর পথ দেখাবে। তাঁর প্রতিষ্ঠিত দ্বিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ইসলামের দাঈ ও মুফাসসির তৈরি হয়ে তার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ আঞ্জাম দেবে, ইনশআল্লাহ। আমি তার অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।

আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদাউসে উচ্চ মর্যাদা দান করুন, তার দাওয়াতি কর্মপন্থা আমাদের জীবনে বাস্তবায়নের তাওফিক দিন এবং তার রেখে যাওয়া সংগ্রামের ধারা অব্যাহত রাখার শক্তি দিন।

বিবৃতিতে জামায়াত আমির দাবি করে বলেন, তার প্রত্যাশা ছিল শাহাদাতের মৃত্যু। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার মৃত্যুকে শহীদি মৃত্যু হিসেবে কবুল করুন। আমি জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী এবং প্রিয় দেশবাসীকে আল্লামা সাঈদীর জীবনের স্বপ্ন একটি কল্যাণমূলক ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।