দৈনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ
ঢাকাSaturday , 23 August 2025
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. কর্পোরেট
  6. খেলাধুলা
  7. জাতীয়
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. ধর্ম
  10. বিনোদন
  11. বিশেষ প্রতিবেদন
  12. রাজনীতি
  13. লাইফস্টাইল
  14. শিক্ষা
  15. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বদনজর ও কালো জাদুর ক্ষতি থেকে বাঁচতে যে আমল করবেন

বার্তা কক্ষ
August 23, 2025 9:06 am
Link Copied!

অনেক সময় নানা ধরনের বিপদ-আপদের মাধ্যমেও মহান রাব্বুল আলামিন বান্দার পরীক্ষা নিয়ে থাকেন। কখনো এটি হতে পারে শারীরিক কোনো রোগ-ব্যাধি দিয়ে, আবার কখনো জীবন বা সম্পদের ক্ষতির মাধ্যমে। এজন্য পরকালে সফল হতে মহান আল্লাহর হুকুম যেমন মেনে চলা জরুরি, তেমনি রাসুল (সা.) এর আদর্শ ও তাঁর দেখানো পথ অনুসরণও জরুরি।

তবে দুনিয়াবি জীবনে কারও প্রতি হিংসা থেকে অনেকেই বদনজরের শিকার হয়ে থাকেন। আবার অতিরিক্ত ঈর্ষা থেকে কেউ কেউ অন্যের ক্ষতি সাধনে কালো জাদুর মতো ভয়ংকর কাজের আশ্রয় নেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, বদনজরের প্রভাব যেমন সত্য, তেমনি কালো জাদুর আশ্রয় নেয়া বড় গুনাহগুলোর একটি।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বদনজর লাগা সত্য (সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ৩৮৭৯)। অন্যদিকে খোদ নবীজি (সা.) জাদু করার মতো ধ্বংসকারী কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, সাতটি ধ্বংসকারী বিষয় থেকে তোমরা বিরত থাকবে। এ কথা শুনে সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! সেগুলো কি? জবাবে রাসুল (সা.) বললেন, (১) আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা, (২) জাদু, (৩) আল্লাহ তা’য়ালা যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন, শরীয়ত সম্মত ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করা, (৪) সুদ খাওয়া, (৫) ইয়াতিমের সম্পদ গ্রাস করা, (৬) রণক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাওয়া এবং (৭) সরল প্রকৃতির সতী মুমিন নারীদের অপবাদ দেয়া। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৫৭৮)

তবে কেউ যদি কালো জাদু বা জাদুটোনা অথবা বদনজরের শিকার হয় কিংবা এর থেকে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, তবে এসবের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচার আমলের কথাও হাদিসে এসেছে। উসমান ইবন আফফান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় যে ব্যক্তি তিনবার নিচের দোয়াটি পাঠ করবে কোনোকিছুই তার অনিষ্ট করতে পারবে না। দোয়াটি হলো-

بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ

বাংলা: বিসমিল্লাহিল্লাজি লা-ইয়াদুররু মাআস্‌মিহি শাইয়্যিন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস-সামায়ি ওয়া-হুয়াস-সামিউল আলিম।

অর্থ: আমি আল্লাহর নাম নিচ্ছি। জমিন ও আসমানের কোনোকিছুই যাঁর নামে বরকতের ক্ষতি সাধন করতে পারে না। তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ। (সুনান আত তিরমিজি: হাদিস: ৩৩৮৮)

এছাড়া আরেকটি হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- কেউ যদি কোনো মানযিলে অবতরণের পর নিচের দোয়াটি পড়ে তবে পুনরায় যাত্রা না করা পর্যন্ত তাকে কিছুই ক্ষতি করতে পারবে না। দোয়াটি হলো-

أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ

বাংলা: আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খলাক।

অর্থ: আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমাসমূহের ওয়াসিলায়, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্টসমূহ থেকে (আল্লাহর কাছে) পানাহ চাই। (সুনান আত তিরমিজি, হাদিস: ৩৪৩৭)

এ ক্ষেত্রে কেউ যদি জাদুটোনা বা বদনজরের কারণে ক্ষতির শিকার হয়ে থাকেন, তবে ঝাঁড়-ফুকের (কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী) কথাও হাদিসে এসেছে। খোদ নবীজিকে (সা.) জিবরিল (আ.) ঝাঁড়-ফুক করেছিলেন। সাঈদ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে ঝাঁড়-ফুকের এমন একটি দোয়ার কথা এসেছে।

সহিহ মুসলিমের হাদিসটি হলো- একবার জিবরিল (আ.) রাসুল (সা.) এর কাছে এসে বললেন, ইয়া মুহাম্মদ! (সা.) আপনি কি অসুস্থতা বোধ করছেন? জবাবে নবীজি বললেন, হ্যাঁ। পরে জিবরিল (আ.) বললেন-

بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَىْءٍ يُؤْذِيكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ اللَّهُ يَشْفِيكَ بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ

বাংলা: বিসমিল্লাহি আরক্বিকা মিন কুল্লি শাইয়্যিন ইয়্যুজিকা মিন শাররি কুল্লি নাফসিন আও আইনিন হাসাদিন, আল্লাহু ইয়াশফিকা, বিসমিল্লাহি আরক্বিকা।

অর্থ: আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়-ফুঁক করছি- সেসব জিনিস থেকে, যা আপনাকে কষ্ট দেয়, সব প্রাণের অনিষ্ট কিংবা হিংসুকের বদনজর থেকে আল্লাহ আপনাকে শিফা দিন, আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়-ফুঁক করছি। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৫১২)