আজকের হাই-স্পিড ডিজিটাল লাইফে এক ট্যাপে তৈরি হয়ে যায় অসংখ্য ছবি, ভিডিও আর টেক্সট। স্মার্টফোন চালানো, অ্যাপ ওপেন করা—এমনকি শুধু কোনো সফটওয়্যার রান করার সময়ও ব্যাকগ্রাউন্ডে জমা হতে থাকে ঢাক-ঢোলহীন ডেটার স্রোত। দরকারি ফাইলের সাথে সাথে জন্ম নেয় বিপুল পরিমাণ অপ্রাসঙ্গিক বা ‘জাংক’ ডেটা।
কিন্তু ডিভাইসের স্টোরেজ তো সীমিত—তাই আমাদের প্রায়ই বাধ্য হয়ে অনেক ফাইল মুছে দিতে হয়।
তখন প্রশ্ন আসে—ডিলিট করা ফাইল আসলে যায় কোথায়? সত্যিই কি তারা একেবারে নিখোঁজ হয়ে যায়?
ফাইলের জন্ম হয় শূন্য (0) আর এক (1)—এই দুই সংখ্যার জাদুকরী সমন্বয়ে। মেমোরি চিপ আবার অনেকগুলো ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করা—যেমন অসংখ্য ছোট বাক্স আর প্রতিটি বাক্সে আরও হাজারো ডেটা সেল।
আপনি যখন কোনো ফাইল ডিলিট করেন, সিস্টেম আসলে সেটিকে সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস করে দেয় না। বরং ফাইলটির জায়গাটিকে ‘ফ্রি’ হিসেবে মার্ক করে কোডটিকে চিপের একটি অদৃশ্য জোনে সরিয়ে রাখে—যেটা সাধারণ ব্যবহারকারী দেখতে পায় না। তাই মনে হয় ফাইলটি হারিয়ে গেছে, অথচ সেটা কেবল স্থান পরিবর্তন করেছে।
এই লুকানো জায়গার ক্ষমতাও সীমিত। নতুন ফাইল ডিলিট হলে তারা একই জায়গায় এসে জমা হয়।
একসময় খোপগুলো পূর্ণ হয়ে গেলে, ডিভাইস সবচেয়ে পুরনো ডিলিটেড ডেটার ওপর নতুন বাইনারি কোড লিখে দেয়। অর্থাৎ পুরনো ডেটা সত্যিকারের হারায় না—নতুন শূন্য-এক দিয়ে সেটিকে শুধু ঢেকে ফেলে।
এই কারণেই নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শক্তিশালী রিকভারি সফটওয়্যার ব্যবহার করে
রিসাইকেল বিন থেকেও ডিলিট করা ছবি, ভিডিও, ডকুমেন্ট আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
কিন্তু ফাইলকে স্থায়ীভাবে নিশ্চিহ্ন করতে হলে প্রয়োজন ডেটা ওয়াইপার সফটওয়্যার। এ ধরনের টুল পুরনো কোডের ওপর বারবার অর্থহীন শূন্য-এক লিখে ডেটাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলে। তখন আর কোনো রিকভারি টুলই সেই ফাইল ফিরিয়ে আনার ক্ষমতা রাখে না।
যেন হোয়াইটবোর্ডে লেখা শব্দ মুছে তার উপর নতুন করে বারবার লাইন টেনে আগের লেখা সম্পূর্ণ মুছে দেওয়া—ঠিক তেমন।

