আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের উপস্থিতি যেন নতুন নিয়ম। কেউ ফেসবুকের দুনিয়ায়, কেউ ইউটিউবে, আবার কেউ রিল আর শর্ট ভিডিও বানিয়ে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। ফেসবুক এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা শুধু ভিউ, রিচ আর অডিয়েন্স এনগেজমেন্টের ভিত্তিতে রিয়েল আয় জেনারেট করতে পারেন। বিনোদনের জায়গাটা ছাড়িয়ে ফেসবুক এখন অনেকের প্যাসিভ ইনকামের উৎস হয়ে উঠেছে।
ফেসবুক থেকে আয় শুরু করতে হলে প্রথম ধাপ হলো অ্যাকাউন্ট মনিটাইজেশন সক্রিয় করা। একবার এটি অ্যাক্টিভ হলে আপনি যে ভিডিওই পোস্ট করবেন, তা আয়ের সম্ভাবনা তৈরি করবে। এই আয় নির্ভর করে ভিউ কাউন্ট, লাইক-কমেন্ট-শেয়ার, দর্শক কতক্ষণ ভিডিও দেখে, কোন দেশ থেকে দেখে এবং বিজ্ঞাপন কতটা কার্যকর—এই সব KPI এর ওপর।
ডেটা অনুযায়ী, প্রতি হাজার ভিউ থেকে সাধারণত ২–১০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা যায়, যা প্রায় ২৫০ থেকে ১২০০ টাকার মতো। যদিও এটি সবার ক্ষেত্রে এক নয়। ২০২৫ সালে ফেসবুক রিলের আয় আরও বেড়েছে, যেখানে হাই-এনগেজমেন্ট কনটেন্ট থেকে ১৫–৫০ ডলার পর্যন্ত আয় সম্ভব।
ফেসবুক থেকে আয় বাড়ানোর কিছু কোর স্ট্র্যাটেজিও রয়েছে। ভিডিওতে দেখানো বিজ্ঞাপনে যত বেশি ক্লিক হবে, আপনাদের রেভিনিউ ততটাই বাড়বে। যদি দর্শক যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা কিংবা ইউরোপের মতো high-paying দেশ থেকে ভিডিও দেখে, তাহলে আয়ের স্কেল আরও ওপরে ওঠে। ভিডিওর কোয়ালিটি, ক্রিয়েটরের সাথে অডিয়েন্সের কানেকশন, রিপ্লাই, কমেন্ট এঙ্গেজমেন্ট—এসবই মনিটাইজেশনে বড় ভূমিকা রাখে।
সঠিক প্ল্যানিং, নান্দনিক প্রেজেন্টেশন আর ভ্যালু-ড্রিভেন কনটেন্টিং এর মাধ্যমে কয়েক মিনিটের ভিডিও থেকেও স্ট্র্যাটেজিক আয় সম্ভব। এমনকি মাত্র হাজার ভিউয়ের কনটেন্ট থেকেও ইনকাম পাওয়া যায়, যদি অপ্টিমাইজেশন ঠিক থাকে।


